ভারতের মাদ্রাসায় রামায়ণ পড়ানোর সিদ্ধান্ত, উদ্বেগ ইসলামী আন্দোলনের
ভারতের মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থীদের বেদ, গীতা, রামায়ণ ও মহাভারত পড়ানোর সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর)। আজ বুধবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার নামে সুকৌশলে মুসলমানদেরকে হিন্দু বানানোর গভীর চক্রান্ত করছে। ভারত হচ্ছে বহুত্ববাদী সংস্কৃতির দেশ। সে দেশে সংস্কৃতি রক্ষার নামে মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদরাসায় হিন্দু গ্রন্থ পড়ানোর প্রস্তাব মুসলমানদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের নামান্তর।
ভারতের সরকারকে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানিয়ে চরমোনাই পীর বলেন, ভারত একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। প্রত্যেক নাগরিক নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু মুসলমানদের উপরে অন্য ধর্মের গ্রন্থ চাপিয়ে দেওয়া এটা অন্যায়।
চরমোনাই পীর আরও বলেন, ভারত ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র দাবি করলেও কার্যত তারা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে না। তারা মুসলমানদেরকে দমিয়ে রাখতে এহেন চেষ্টা নাই যা তারা করছে না। ভারতবর্ষকে মুসলিম শূন্য করার যে চেষ্টা করা হচ্ছে তা কখনো সফল হবে না।
ধর্মের ব্যাপারে কোনো জবরদস্তি কোনোভাবেই কাম্য নয় জানিয়ে ইসলামি আন্দোলনের আমীর বলেন, যার যার ধর্ম সে পালন করবে। মাদ্রাসাগুলোতে রামায়ণ পড়ানোর যে সিদ্ধান্ত ভারত নিয়েছে তা সম্প্রীতি বিনষ্ট করবে। মানুষকে সহিংস করে তুলবে। কাজেই এ ধরনের স্ববিরোধী সিদ্ধান্ত ভারতকে প্রত্যাহার করতে হবে।
এই সিদ্ধান্ত উসকানিমূলক দাবি করে চরমোনাই পীর বলেন, যদি মাদ্রাসাগুলোতে রামায়ণ পড়ানো হয়, তাহলে স্কুলগুলোতে কী কোরআন পড়ানো হবে? যদি না হয় তাহলে উসকানিমূলক সিদ্ধান্ত থেকে ভারতকে সরে আসতে হবে।