৩০ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২২

নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বন্ধুসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কলেজছাত্রীর মৃত্যু

নিহত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কলেজছাত্রী দেবপ্রীতা দে ব্রতী  © সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় বন্ধুসহ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ভোর রাতে নিউইয়র্কের লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হলে ঘটনাস্থালেই মারা যান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কলেজছাত্রী দেবপ্রীতা দে ব্রতী (১৮) ও তার বন্ধু জীবন লেইকেন (১৯)।

সিলেটের ওষুধ ব্যবসায়ী ও সেন্ট্রাল ফার্মেসি পরিবারের পরিচিত মুখ দেবাশীষ দে বাসু ও ভার্শতি দে দম্পতির কনিষ্ঠা কন্যা ছিলেন ব্রতী। তিনি ম্যানহাটন কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। খবর বাংলা প্রেসের।

পুলিশের সূত্রে জানা যায়, লং আইল্যান্ড সাউদার্ন স্টেট পার্ক মহাসড়কের ৩৫ নম্বর বাহির পথে ইনফেনিটি গাড়ির আরোহী ছিলেন দেবপ্রীতা দে। তার বন্ধু জীবন লেইকেন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। বাহির পথে অন্য একটি জিপ গাড়ির সাথে ইনফেনিটি গাড়ির ধাক্কা লাগলে গাড়িটি সড়ক পথ থেকে ছিটকে পরে গাছে ধাক্কা লাগে। ভোর পৌনে ৬টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ইনফিনিটি গাড়ির উভয় যাত্রীকে মৃত অবস্থায় পায়। অপর গাড়ির চালককে আহত অবস্থায় নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কোন কারণ জানা যায়নি। নিউইয়র্ক পুলিশের একাধিক বিভাগ এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

ম্যানহাটন কমিউনিটি কলেজের শিক্ষার্থী দেবপ্রীতা পরিবারের সাথে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস এলাকার করোনা নামক এলাকায় বসবাস করতেন। দুর্ঘটনার সময়টিতে তার বাবা মা দেশে অবস্থান করছেন। রবিবার বেলা দুইটার দিকে পুলিশ পরিবারের খোঁজ করে দেবপ্রীতার বোনকে মৃত্যু সংবাদটি জানান।

পুলিশ ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিউইয়র্ক সময় মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) রাতেই এমিরেটসের ফ্লাইটে মরদেহ দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। দেবপ্রীতার কাকা সুব্রত দে গৌতম জানিয়েছেন, তিনিসহ নিউইয়র্ক ও কানাডা থেকে পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে দেশে যাচ্ছেন। আগামী বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা পৌঁছে সেদিনেই মৃতদেহ সিলেটে নিয়ে যাওয়া হবে।

পারিবারিক সূত্রে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবারেই সিলেট শহরের চালিবন্দরে দেবপ্রীতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হবে। দেশে থাকা দেবপ্রীতা মা-বাবাকে দুর্ঘটনার সংবাদ জানানো হয়েছে। নিউইয়র্কে দুর্ঘটনার সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাপকভাবে জড়িত পরিবারটির খোঁজখবর নিতে লোকজনকে ভিড় করতে দেখা গেছে। 

জনসমাজ সংগঠক ও জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী জানিয়েছেন, দেবপ্রীতার মরদেহ দেশে পৌঁছা পর্যন্ত সব আনুষ্ঠানিকতার তিনি খোঁজখবর রাখছেন।