টিকটক ভিডিওর মাধ্যমে ১৯ বছর পর দেখা হলো যমজ বোনের
জন্মের পর কোনও একটি ঘটনায় বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল যমজ বোনদের। মাঝে কেটে গেছে প্রায় ১৯টি বছর। জন্ম একসঙ্গে হলেও ভাগ্যের নির্মমতার কারণে একই শহরে বাস করলেও, কেউ কাউকে চিনতে পারেননি। অবশেষে সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে পুনর্মিলন হল দুই বোনের। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব ইউরোপের দেশ জর্জিয়ায়।
অ্যামি ও অ্যানো যমজ বোন। ২০০২ সালে জর্জিয়ার একটি হাসপাতালে জন্মের পরপরই তাদের মায়ের কাছ থেকে নিয়ে অন্য পরিবারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। দুজন দেখতে হুবহু একই রকম। চোখ, কান, নাক, মুখের আদলে দুজনের মধ্যে পার্থক্য খুঁজে বের করা দুষ্কর। ২০২১ সালে একটি টিকটক ভিডিওর সূত্র ধরে দুই বোনের পুনর্মিলন ঘটেছে।
জানা গেছে, যখন তাঁদের বয়স ১২ বছর ছিল, তখন থেকেই অ্যানোকে খুঁজছিলেন অ্যামি। দত্তক নেওয়া মায়ের সঙ্গে বসবাসরত অ্যামি একদিন টেলিভিশনে জর্জিয়াস গট ট্যালেন্ট দেখছিলেন। সেখানে হুবহু নিজের চেহারার মতো অ্যানোকে দেখতে পান। অ্যামি বলেন, ‘প্রতিবেশীরা আমার মাকে ডেকে জিজ্ঞাসা করেছিল, আমি কেন অন্যজনের নামে প্রতিযোগিতায় নাচছি।
অন্যদিকে অ্যামি টিকটকে নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। সেই ভিডিও দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের সহায়তায় তাঁকে খুঁজে বের করেন অ্যানো। এরপর আলাপচারিতায় বেরিয়ে আসে, তাঁরা একই হাসপাতালে জন্ম নিয়েছেন। তাঁরা দুজনে যে পরিবারে বেড়ে উঠেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে দত্তক নেওয়ার ঘটনা জানতে পারেন।
দুজনের পালিত মা জানান, পরিবার চায় না এমন কোনো শিশুকে পেতে হলে চিকিৎসককে টাকা দিতে হবে বলে জেনেছিলেন। সে অনুসারে টাকা দিয়ে তাঁরা তাঁদের দত্তক নিয়েছেন।
এবার দুই বোন নিজেদের গর্ভধারিণী মাকে খোঁজার অভিযানে নামেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জার্মানির এক তরুণী জানান, ‘জর্জিয়ার এক ম্যাটারনিটি হসপিটালে ২০০২ সালে আমার মায়ের যমজ বাচ্চা হয়েছিল। অ্যামি-অ্যানোর মা আজা শোনি। জন্ম-সংক্রান্ত অজ্ঞাত এক জটিলতায় তিনি কোমায় চলে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক, যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষিকার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তখন তাঁর স্বামী গোচা গখরিয়া অ্যানো ও অ্যামিকে আলাদা দুটি পরিবারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। এর এতদিন পর এক হলো দুইবোন।
সূত্র: বিবিসি