১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪২

ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের যৌথ বিমান হামলা 

  © সংগৃহীত

হুথি বিদ্রোহীদের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং অস্ত্র সংরক্ষণের স্থানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করে ইয়েমেনে যৌথ হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে দ্যা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। 

গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের পর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে সম্প্রতি যেসব হামলা চালিয়ে আসছে তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় হুথিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে সরাসরি হামলা চালাচ্ছে ব্রিটিশ ও মার্কিনি সেনারা। রাজধানী সানার হুদাইদাহে হুতি লোহিত সাগর বন্দর, ধামার ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হুতিদের শক্ত ঘাঁটিতে হামলার খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।

সানার এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তিনি ৩টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। হুথির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাজধানী সানায় ‘শত্রুদের হামলা’ চলছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যকে এজন্য চরম মূল্য দিতে হবে।

এদিকে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জলপথগুলোর মধ্যে অন্যতম নৌ চলাচলের স্বাধীনতাকে বিপন্ন করা হচ্ছে। এ জন্য তাদের বিরুদ্ধে ‘আমার আদেশে’ হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন বাহিনী যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডের সমর্থনে হামলা চালিয়েছে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

অন্যদিকে একই সময়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক যৌথ হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা আত্মরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি। রয়্যাল এয়ার ফোর্সের যুদ্ধবিমান হুতিদের সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালাতে সহায়তা করেছে।  

এর আগে মঙ্গলবার রাতে ইয়েমেনের হুতি যোদ্ধারা লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় হামলা চালায়। মার্কিন কর্মকর্তারা বুধবার বিবৃতিতে জানায়, আনুমানিক ৫০টি বাণিজ্যিক জাহাজ তাদের হামলার আওতায় ছিল।

এরপর গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ লক্ষ্য করে ২০টি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে হুথিরা। এরপরই এ হামলার জবাব দেওয়ার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, গত প্রায় ৫০ দিনে লোহিত সাগরে হুতিরা মোট ২৬ বার হামলা করেছে।

সূত্র: আল জাজিরা ও বিবিসি