২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫:৪০

জনবল সংকটে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান

  © প্রতীকী ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন লাখ লাখ মানুষ। রেকর্ড সংখ্যক চাকরিজীবী এ পর্যন্ত পদ ছেড়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে চাকরি ছাড়ছেন লাখ লাখ মানুষদেশটির শ্রম বিভাগের সর্বশেষ জরিপে এমন চিত্রই উঠে এসেছে। অব্যাহতভাবে চাকরি ছাড়ায় একদিকে যেমন সৃষ্টি হয়েছে শূন্যপদ, অন্যদিকে জনবল সংকটে পড়েছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

সিএনবিসির সংবাদে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ৪৭ মিলিয়ন বা ৪ কোটি ৭০ লাখ মানুষ চাকরি ছেড়েছেন। এরপর ২০২২ সালে চাকরি ছাড়েন ৫ কোটির বেশি মানুষ। দেশটিতে এভাবে মানুষের গণহারে চাকরি ছাড়ার ঘটনা ‘গ্রেট রেজিগনেশন’ বা ‘গণহারে পদত্যাগ’ হিসেবে খ্যাত। এরপর অবশ্য সেই ধারা থেমে যায়। এ বছরের এপ্রিল মাসে আবার কর্মসংস্থানের পরিমাণ প্রাক্‌-মহামারি পর্যায়ে ফেরত যায়। এরপরই শুরু হয় সিইওদের চাকরি ছাড়ার হিড়িক।

গত নভেম্বর মাস পর্যন্ত সিইওদের চাকরি ছাড়ার হার গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ শতাংশ বেড়েছে। ২০২২ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত চাকরি ছেড়েছিলেন ১ হাজার ১৩৫ জন সিইও। এর আগে ২০১৯ সালে ১২ মাসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬৪০ জন সিইও চাকরি ছেড়েছিলেন। চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাসের গবেষণায় সিইওদের চাকরি ছাড়ার এই তথ্য উঠে এসেছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেখানে চাকরি সোনার হরিণ, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে তার পুরোপুরি উল্টো চিত্র। দেশটিতে লাখ লাখ মানুষ তাদের চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। এ হিড়িক দিন দিন কেবল বাড়ছেই। এতে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মপদ সৃষ্টি হয়েছে এক কোটি তিন লাখ।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্টে ৪৩ লাখ কর্মী চাকরি ছেড়েছেন। এ সংখ্যা মোট চাকরিজীবীর দুই দশমিক ৯ ভাগ। চাকরিজীবীরদের একটা বড় অংশ তাদের চাকরি ত্যাগের কারণ হিসেবে করোনার প্রভাবকে দায়ী করেছেন।

পাশাপাশি বলা হচ্ছে, উপযুক্ত বেতন না পাওয়ার বিষয়টি। তবে নিয়োগকর্তারা বলছেন, এখন চাকরির জন্য স্বর্ণালি সুযোগ রয়েছে, অথচ মানুষ সেই পথে হাঁটছে না।

ব্যাপকহারে চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় শূন্যপদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে এবং অর্থনীতির গতি ফিরিয়ে আনার পথে বড় কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এমনিতেই কোভিড হানায় বিপর্যস্ত মার্কিন অর্থনীতি। এরইমধ্যে কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের আকৃষ্ট করতে জয়েনিং বোনাস ও বেতন বৃদ্ধির মতো প্রণোদনার ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু তাতেও কোনো কাজের কাজ হচ্ছে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মার্কিনরা চাকরি ছাড়ায়, এই পদগুলোতে যোগ্য অভিবাসীরা সুযোগ কাজে লাগাতে পারবেন।