অভিভাবকহীন হয়ে পড়ছে পশ্চিমবঙ্গের দশ বিশ্ববিদ্যালয়
একদিকে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে না। অন্যদিকে শেষ হওয়ার পথে অস্থায়ী মেয়াদে নিয়োগপ্রাপ্ত উপাচার্যদেরও মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে। আর এতে আগামীকাল সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ১০ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যবিহীন হয়ে পড়ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থায়ী উপাচার্যদের মেয়াদ ৬ মাস। সে ৬ মাসের মেয়াদও শেষ হয়ে যাচ্ছে। অথচ এখনো নতুন করে কিছু করা হয়নি। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এডুকেশনিস্ট ফোরামের সদস্যরা।
এই উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত লেগেই আছে। তাই মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সর্বোচ্চ আদালত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বসে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রয়োজনে বিচারপতিরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করবেন।
এমন নির্দেশনার পরও অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেজন্য তাকে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনাও শুনতে হয়েছে।
এডুকেশনিস্ট ফোরাম বলছে, এমন পরিস্থিতির মধ্যে ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়েই নতুন ভারপ্রাপ্ত উপচার্যদের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে।বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক কাজে যদি জটিলতা তৈরি হয় তাহলে আবার আটকে যেতে পারে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কাজ।
যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উপাচার্যহীন হচ্ছে— কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত কলেজ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি, ডায়মন্ডহারবার ইউনিভার্সিটি, আম্বেদকর ইউনিভার্সিটি, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়, সিধো কানহো বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি, কন্যাশ্রী, কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে, উপাচার্যদের বহাল করা নিয়ে ব্যাপক টানাপোড়েন দেখা গিয়েছে রাজ্য–রাজ্যপালের মধ্যে। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যেই বিষদগার করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এসব চললেও স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে কোনও গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ।