২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:২৭

প্রাথমিকের ‘টেট’ পরীক্ষা কাল, পরীক্ষার্থী ৩ লাখের বেশি

পরীক্ষার্থী  © ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হবে। দুপুর ১২টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত পরীক্ষা হবে। তিন লাখের বেশি প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন।

জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের ৭৭৩টি কেন্দ্রে টেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যার মধ্যে পাঁচটি কেন্দ্র কলকাতায়। এ বছর ৩ লাখ ৯ হাজার ৫৪ জন টেট দেবেন। প্রাথমিকের মোট ১১ হাজার ৭৬৫টি আসন খালি রয়েছে। সেই আসনগুলিতে নিয়োগ হবে।

এক জন চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় তাঁর কাছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা অ্যাডমিট কার্ড থাকা আবশ্যিক। পরীক্ষাকেন্দ্রে বৈধ অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে প্রবেশ না করলে, তাঁকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না।

প্রাথমিক পর্ষদ জানিয়েছে, যে কোনও ধরনের লেখা কাগজপত্র, ভাঁজ করা কাগজের টুকরো, কাগজের বিট, জ্যামিতি/পেন্সিল বক্স, প্লাস্টিকের থলি, ক্যালকুলেটর, স্কেল, লেখার প্যাড, পেন ড্রাইভ, রাবার, লগ টেবিল, বৈদ্যুতিন পেন বা স্ক্যানার এবং কার্ডবোর্ড নিয়ে পরীক্ষা হলে প্রবেশ করা যাবে না।

মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ প্রযুক্তি থাকা যন্ত্র, ইয়ারফোন, মাইক্রোফোন, পেজার, হেলথ ব্যান্ডও নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। সঙ্গে রাখতে পারবেন না যে কোনও ধরনের ঘড়ি, ক্যামেরা, টাকা রাখার ব্যাগ, রোদ চশমা, সোনার অলঙ্কার।

এক কথায়, অসৎ উপায়ে পরীক্ষা দিতে সাহায্য করবে, এমন কোনও যন্ত্র নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা। কোনও পরীক্ষার্থী এই ধরনের যন্ত্র কাছে রাখলেই বিপদ। পরীক্ষা তো বাতিল হবেই, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থাও নিতে পারেন কর্তৃপক্ষ।

শিশু বিকাশ এবং শিক্ষাবিদ্যা (চাইল্ড ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পেডাগগি), ভাষা-১ (বাংলা/হিন্দি/ওড়িয়া/তেলুগু/নেপালি/সাঁওতালি/উর্দু), ভাষা-২ (ইংরেজি), গণিত এবং পরিবেশবিদ্যার উপর প্রশ্ন করা হবে। প্রতিটি বিষয়ে ৩০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। অর্থাৎ, মোট ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

এক জন সাধারণ প্রার্থী ১৫০-এর মধ্যে ৬০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডের জন্য উত্তীর্ণ হবেন। তবে বিশেষ তালিকাভুক্ত (যেমন, সংখ্যালঘু, প্রতিবন্ধী, প্রাক্তন সৈনিক ইত্যাদি) পরীক্ষার্থীরা কমপক্ষে ৫৫ শতাংশ পেলেই টেট পাশ করবেন।

প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন, টেট উত্তীর্ণ হলেই যে চাকরি পাওয়া যাবে, তেমনটা নয়। এটি নিয়োগ পাওয়ার প্রয়োজনীয় যোগ্যতার মাপকাঠিগুলির মধ্যে একটি।

সূত্র: আনন্দবাজার