২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৩:১৮

নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার, রবীন্দ্রনাথের নামে নামকরণ

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক টিম  © সংগৃহীত

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে নামকরণ করা হল এক নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক টিম এই নতুন ব্যাকটেরিয়া আবিষ্কার করেছেন। উদ্ভিদের বৃদ্ধির উপযোগী এই ব্যাকটেরিয়া। নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে প্যান্টোইয়া টেগরী। কৃষি ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের ভেবেই এই নামকরণ করা হয়েছে।

উদ্ভিদের সঠিক বৃদ্ধির জন্য নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম অপরিহার্য। এই তিনের সংক্ষেপে অনুপাতকে কৃষি বিজ্ঞানের ভাষায় সংক্ষেপে এনপিকে বলা হয়। মাটি থেকে এটি সহজে পাওয়া যায় না। তবে নতুন এক ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের এই এনপিকে ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করছে। নতুন সেই ব্যাক্টেরিয়ার আবিষ্কার করলেন বিশ্বভারতীর গবেষকরা। আবিষ্কৃত ব্যাক্টেরিয়ার নাম দেওয়া হল বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে।

ব্যাকটেরিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে 'প্যান্টোইয়া টেগরী।' সম্পূর্ণ নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়া । বিশ্বভারতীর বোটানি বিভাগের মাইক্রো বায়োলজির অধ্যাপক ডক্টর বুম্বা দাম ও ৫ জন সহকারি গবেষক গত পাঁচ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে আবিষ্কার করেছেন। যা কৃষিবিজ্ঞানে নজির গড়েছে।

মূলত যে মাটিতে উদ্ভিদের উপযোগী ও প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদান কম রয়েছে সেই সমস্ত জমিতে খোঁজ শুরু করেন তাঁরা। তখনই তাঁরা ঝাড়খণ্ডের ঝরিয়া কয়লা খনি এলাকায় নতুন প্রজাতির এই ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান পান। এরপর সেই ব্যাকটেরিয়ার ফেনোটাইপিক ও জেনোটাইপিক বৈশিষ্ট খতিয়ে দেখে গবেষকরা জানতে পারেন এই ব্যাকটেরিয়া উদ্ভিদের এনপিকে ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে।

ব্যাকটেরিয়া প্রসঙ্গে অধ্যাপক বুম্বা দাম জানান, 'বিষয়টি অ্যাসোসিয়েশন অফ মাইক্রোবায়োলজিস্ট অফ ইন্ডিয়াতে জানানো হয়েছিল।' তিনি জানান, নভেম্বর মাসের ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মাইক্রোবায়োলজিতে আবিষ্কৃত বিষয়টি প্রকাশিত হয়। আর তারপরেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা নতুন আবিষ্কৃত ব্যাকটেরিয়াকে স্বীকৃতি দেয়। মূলত, কৃষি ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অবদানের কথা মাথায় রেখে আমরা ব্যাকটেরিয়ার নাম দেওয়া হয় প্যান্টোইয়া টেগরী।' এই আবিষ্কার যে কৃষিবিজ্ঞানে অবদান রাখবে তা নিয়ে আশাবাদী বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য সঞ্জয় কুমার মল্লিক।

অধ্যাপক বুম্বা দাম পাঁচ গবেষক রাজু বিশ্বাস, অরিজিৎ মিশ্র, সন্দীপ ঘোষ, অভিনব চক্রবর্তী ও পূজা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমে খোঁজ পাওয়া যায় এই নতুন প্রজাতির ব্যাকটেরিয়ার। নতুন এই ব্যাকটেরিয়া আগামী কৃষি বিজ্ঞানে যথেষ্ট অবদান রাখবে বলেই মনে করা হচ্ছে।