গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে প্রস্তুত ইসরায়েল, জানালেন প্রেসিডেন্ট
ইসরায়েলের রাষ্ট্রপতি আইজ্যাক হারজগ বলেছেন, তারা হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির জন্য গাজায় একটি নতুন সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরে প্রস্তুত আছে। তবে হামাসকে তাদের হাতে আটক থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে হবে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ৮০টি দেশের রাষ্ট্রদূতদের সাথে বৈঠকে হারজোগ এসব কথা বলেন।
হামাসের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যা চলমান থাকলে বন্দী বিনিময়ের কোনো আলোচনা হবে না। তবে আগ্রাসন বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিতে সীমান্ত ক্রসিং খুলে রাখলে যেকোনো উদ্যোগে স্বাগত জানাবে তারা।
সোমবার গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুল রহমান আল থানি ওয়ারশতে হামাসের সাথে নতুন করে আলোচনার বিষয়ে আলোচনা করছেন।
ইসরায়েলি কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনিদের মুক্ত করতে এবং যুদ্ধ বিরতির মাধ্যমে গাজায় হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের ছেড়ে দিতে একটি নতুন চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে পোল্যান্ডের রাজধানীতে বৈঠক করেছেন তাঁরা।
এর আগে কাতার এবং মিশর ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে একটি চুক্তিতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ছিল যার ফলে নভেম্বরের শেষের দিকে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি হয়। যার মাধ্যমে হামাস ১০০ জনেরও বেশি মহিলা, শিশু এবং বিদেশিদের মুক্তি দেয়। অপরদিকে ২৪০ ফিলিস্তিনি মহিলা এবং কিশোরদের মুক্তি দিয়েছিল ইসরায়েলিরা।
হারজোগ দাবি করেন যে ইসরায়েল ‘ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে যুদ্ধে করছে না, হামাসের সাথে যুদ্ধ করছে’ কিন্তু ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী অক্টোবর থেকে নির্বিচারে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক এবং বেসামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বোমা হামলা চালাচ্ছে।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রপতির বক্তব্যের বিষয়ে হামাসের পক্ষ থেকে নতুন করে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এর আগে ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান হামলা এবং স্থল অভিযানে অন্তত ১৯,৬৬৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। এছাড়াও প্রায় ৫২,৫৮৬ জন আহত হয়েছেন। [সূত্র: ডেইলি সাবাহ]
আরও পড়ুন: নিশ্চিত মৃত্যু থেকে যেভাবে বেঁচে ফিরেন আয়রন ডোম হ্যাক করা ওমর