০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:৪৫

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে গাজার ভাইরাল সেই বৃদ্ধা নিহত

ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত গাজার ভাইরাল বৃদ্ধা হাদিয়া  © সংগৃহীত

সম্প্রতি নিজেকে ইসরায়েলের চেয়ে বেশি বয়সী দাবি করে ভাইরাল হয়েছিলেন গাজায় বসবাস করা হাদিয়া নসর নামে এক বৃদ্ধা। অজ্ঞাত স্থান থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলি করে হত্যা করেছে হাদিয়াকে।

শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) আল-আরাবিয়া প্রতিবেদনে বৃদ্ধা হাদিয়াকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি তুলে ধরে। এর আগে ২৪ নভেম্বর কাতারের মধ্যস্থতায় এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই গত শুক্রবার থেকে গাজায় নতুন করে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এর পর থেকে ইসরায়েলি সেনারা এখন খান ইউনিস এলাকায় হামলা চালাচ্ছে।

আল-আরাবিয়া প্রতিবেদনে উঠে আসে, বৃদ্ধা হাদিয়ার বর্তমান বয়স ৭৯ বছর। তার নসরের জন্ম হয়েছিল ১৯৪৪ সালে। সেই অর্থে ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনিদের বিতাড়িত করে যখন ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল, তারও ৪ বছর আগে জন্মেছিলেন হাদিয়া। ১৯৪৮ সালের সেই পরিস্থিতিকে ‘নাকবা’ বা বিপর্যয় নামে চিহ্নিত করে ফিলিস্তিনিরা।

এখনো অনলাইনে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাদিয়ার ভাইরাল ভিডিওটি। যা ধারণ করেছিলেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক সালেহ আল জাফরাবি। ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চলমান সংঘাতের মধ্যে ভিডিওটি ধারণ করা হয়। ফিলিস্তিনি এ সাংবাদিক মূলত ইসরায়েলি বিমান হামলায় মারাত্মক আহত হাদিয়াকে একটি হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, সরকারি নথিতে হাদিয়ার জন্মের তারিখ দেখে কিছুটা হোঁচট খান জাফরাবি। পরে ইসরায়েলের জন্মের আগে হাদিয়ার জন্মের বিষয়টি উঠে আসে তাদের আলোচনায়। বিষয়টি নিয়ে উপস্থিত মানুষদের হাসাহাসি করতেও দেখা যায়। সেবা নিয়ে একপর্যায়ে ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন হাদিয়া।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এ পর্যন্ত গাজায় ১৭ হাজার ১৭০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। আহত হয়েছেন ৪৬ হাজার মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন, ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়েছে।