সরকারি চাকরি পেতেই যুবককে অপহরণের পর জোর করে বিয়ে
সরকারি চাকরি পাওয়া যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যে। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের রেপুরার একটি সরকারি স্কুলে সদ্য চাকরি পেয়েছেন গৌতম নামে এক যুবক। তিনি স্কুলে যখন ক্লাস নিচ্ছিলেন, সেই সময় ৫-৬ জন জোর করে ঢুকে পড়েন। তার পর তাঁকে মারধর করে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেন।
গৌতমের অভিযোগ, তাকে অপহরণ করে রাজেশ রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাকে শাসানো হয়, বিয়ে না করলে খারাপ পরিণতি হবে। তিনি প্রতিবাদ করলেও তাতে কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রাজেশ রায়ের কন্যার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়।
স্কুল থেকে গৌতমের অপহরণের খবর পেয়ে তার পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়। অভিযোগ পেয়েই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গৌতমের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন চিহ্নিত করা করে নারায়ণপুরের ডেরপুরা গ্রামে অভিযান চালানো হয়। ওই গ্রামের একটি বাড়ি থেকে গৌতমকে উদ্ধার করা হয়। তার নববিবাহিত স্ত্রীও ছিলেন সেখানে।
রাজ্যে এই ঘটনায় প্রথম নয়, এর আগে ২০১৯ সালে সরকারি চাকরি পাওয়া এক যুবককেও অপহরণ করে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসে। সেই মামলা আদালতে ওঠে। আদালত সেই বিয়েকে বেআইনি বলে জানায়। সরকারি চাকরি পাওয়া যুবকদের তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে দেওয়ার ঘটনা প্রায়শই ঘটে বিহার রাজ্যের বেশ কিছু অঞ্চলে।