বিয়ের আসরে বরের গুলিতে কনেসহ চারজনের মৃত্যু

  © সংগৃহীত

থাইল্যান্ডে এক প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদ ও সাবেক সেনাসদস্য তাঁর বিয়ের আসরে গুলি করে কনেসহ চারজনকে হত্যার পরে আত্মহত্যা করেছেন। গত শনিবার দেশটির উত্তর–পূর্বাঞ্চলে এই ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, ঘাতক ওই বরের নাম চতুরং সুকসুক (২৯)। তাঁর গুলিতে নিহত কনের নাম কাঞ্চনা পাচুনথুয়েক (৪৪)। গত শনিবার তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের দিনই গুলির এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এদিন বিয়ের আসর ছেড়ে হঠাৎ উঠে যান চতুরং। এর কিছুক্ষণ পর একটি বন্দুক নিয়ে ফিরে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকেন। এতে কনে কাঞ্চনার পাশাপাশি তাঁর ৬২ বছর বয়সী মা ও ৩৮ বছরের বোনও নিহত হন। চতুরংয়ের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলি আরও দুজন অতিথির শরীরে লাগে। আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

পুলিশ বলছে, ঘটনার সময় চতুরং নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তবে তিনি কেন গুলি করেছেন, তার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। চতুরং গত বছর বৈধভাবে একটি বন্দুক ও বুলেট কেনেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে যা বলেছেন, তার বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, বিয়ের আসরে বর ও কনের মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কনে কাঞ্চনার সঙ্গে বর চতুরংয়ের বয়সের ব্যবধান ছিল অনেক বেশি। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলেন চতুরং।

গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়ার প্যারা গেমসে সাঁতার প্রতিযোগিতায় রৌপ্য পদক পান চতুরং। একটা সময় সীমান্তরক্ষীর দায়িত্বে থাকা থাইল্যান্ডের আধাসামরিক বাহিনীতে ছিলেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ