ইসরায়েলের দূতাবাস বন্ধ করে সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে দক্ষিণ আফ্রিকা
ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হাঁটছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সম্পর্ক ছিন্ন করার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের দূতাবাস বন্ধ করে দিতে দেশটির সংসদে একটি বিল উত্থাপন করবে বিরোধী দল ইকোনোমিক ফ্রিডম ফাইটার্স (ইএফএফ)।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস জানিয়েছে, ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার এ বিলে সমর্থন জানাবে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) এই বিল নিয়ে দেশটির সংসদে বিতর্ক হবে। বিলটি পাস করানোর মাধ্যমে গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করা পর্যন্ত ইসরায়েলের সঙ্গে সবধরনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ইসরায়েলের অব্যাহত ও নির্বিচার হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার ফিলিস্তিনি। সাধারণ মানুষের ওপর এমন ভয়াবহতা চালানোয় বেশ কয়েকটি দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আর কয়েকটি দেশ তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে গতকাল বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার শীর্ষ কূটনীতিক নেলেদি পান্ডোর বলেন, ‘এ ধরনের ভয়াবহতা এবং বিপর্যয়ে আমরা আতঙ্কিত— যেটি বেড়েই চলছে। এসব ভয়াবহতা খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছে।’
এছাড়া গাজায় নির্বিচার হামলা চালানোয়— ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) অভিযোগ দায়ের করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা গাজায় ইসরায়েলের সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট রিসিল রামাফোসা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের তথ্যটি জানিয়েছেন।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা শুরু হওয়ার পরই এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দেশটি প্রথম থেকেই গাজার সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছে।