নেপালে ফের শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত ৭০
নেপালে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আর অত্যন্ত শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত নেপালে মৃত্যু হয়েছে কমপক্ষে ৭০ জনের। এর প্রভাবে ভারতের দিল্লি ও এর আশপাশের শহরের বহুতল ভবনগুলোতে ব্যাপক কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে ভারতে এখন পর্যন্ত হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টায় এ ভূমিকম্প আনুভূত হয়। এর কেন্দ্রের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এই ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল নেপালের জুমলা থেকে ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণে।
নেপালে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হচ্ছে, ভূমিকম্পের জেরে বহু জায়গার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এই আবহে রাত থেকেই শুরু হয় উদ্ধারকাজ। এখন পর্যন্ত ৭০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। জানা গেছে, আরো বহু মানুষ এই ভূমিকম্পে আহত। তাদের অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চলছে চিকিৎসা।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, এই ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল নেপালের জুমলা থেকে ৪২ কিলোমিটার দক্ষিণে। ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, নেপালের ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে দিল্লি ও উত্তর ভারতজুড়ে।
শুক্রবার গভীর রাতে হওয়া এই কম্পনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে দিল্লি-এনসিআরের বাসিন্দাদের মাঝে। এক মিনিটেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল কম্পনটি। ভয়ে দিল্লির বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত রাস্তায় চলে আসেন।
হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, শুধু দিল্লিই নয়; উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, বিহার রাজ্যেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। অনেকের দাবি, কম্পনের মাত্রা যথেষ্ট জোরালো ছিল। ভারতের জাতীয় ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের তথ্য মতে , শুক্রবার রাত ১১টা ৩২ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে নেপালে ভূমিকম্পটি হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল দেশটির রাজধানী কাঠমাণ্ডু থেকে পশ্চিম ও উত্তরপশ্চিম দিকে ৩৩১ কিমি দূরে।
গত এক মাসের মধ্যে নেপালে তিনটি জোরালো ভূমিকম্প হয়েছে। এর আগে গত ২০১৫ সালে নেপালে ভয়াবহ একটি ভূমিকম্প হয়েছিল। তাতে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ৯ হাজার মানুষের। আহত হয়েছিলেন প্রায় ২২ হাজার মানুষ। গতরাতের ভূমিকম্প যেন নেপালের মনে ২০১৫ সালের সেই ভীতি ঢুকিয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নেপালের প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছে। রাতেই জরুরি ভিত্তিতে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ। নেপালের রুকুম জেলায় বহু বাড়ি ভেঙে পড়েছে। এদিকে ভূমিকম্পের পরপর জাজারকোট গ্রামের স্থানীয় প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছিল না বলে জানা যায়। ওই গ্রামে বহু মানুষ থাকেন।
সূত্র: এনডিটিভি