আসামে চাকরিজীবীদের দ্বিতীয় বিয়েতে লাগবে সরকারের অনুমতি
সরকারি চাকরিজীবীদের এবার ভিন্ন রকম এক নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে হলেও তাদের নিতে হবে সরকারের অনুমতি। ফলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী এখন থেকে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারবেন না।। সম্প্রতি সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য এমন বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে ভারতের আসাম সরকার।
গত ২০ অক্টোবর এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছেন আসাম সরকারের মূখ্য সচিব নীরাজ ভার্মা। তবে বিষয়টি সামনে আসে বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর)। নারী কর্মীদের বিয়ের ক্ষেত্রেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ্য থেকে।
সরকারি ওই নির্দেশনায় বলা হয়, স্ত্রী জীবিত আছেন এমন কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী সরকারের অনুমতি ছাড়া পুনরায় বিয়ে করতে পারবেন না। এমনকি, যে সম্প্রদায়ে একজন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও দ্বিতীয় বিয়ে করা যায়, তাদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। কোনো কর্মী সরকার প্রণীত এ বিধি অমান্য করে পুনরায় বিয়ে করলে মোটা অঙ্কের জরিমানা দিতে হবে। পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিভাগীয় তদন্তের মুখোমুখিও হতে হবে। প্রয়োজনে ওই কর্মীকে অবসর দেওয়া হতে পারে।
নারী কর্মীদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, সরকারি কোনো নারী কর্মী এমন কাউকে বিয়ে করতে পারবেন না, যার অপর একজন স্ত্রী রয়েছে এবং যিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে অনুমতি নেননি।
আরও পড়ুন: বিয়ে দিচ্ছে না পরিবার, সুইসাইড নোট নিয়ে থানায় শিক্ষার্থী
যদিও আসামের একাধিক আইনজীবীর দাবি, এটা নতুন কিছু নয়। এই নিয়ম আসামে আগে থেকেই ছিল। কারণ সরকারি কর্মীদের চাকরিতে যোগদান করার আগে এ নিয়ে হলফনামা জমা দিতে হয়।
ধর্মেন্দ্র দেব নামে এক সিনিয়র আইনজীবী হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স না দিয়ে হিন্দুরা দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারেন না। আর অন্য সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা ‘পার্সোনাল ল’-এর ব্যাপার। এক্ষেত্রে এ ধরনের বিয়ে আটকাতে গেলে রাজ্য সরকারকে ‘পার্সোনাল ল’ সংশোধন করতে হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বহুবিবাহ ও বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। তবে আসাম বিধানসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা দেবব্রত সাইকিয়া রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।