২৪ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৫৮

৭৬তম জাতিসংঘ দিবস আজ

জাতিসংঘ দিবস  © সংগৃহীত

আজ ৭৬তম জাতিসংঘ দিবস। ১৯৪৫ সালের আজকের এই দিনে (২৪ অক্টোবর) দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা দেখে বিশ্ব শান্তির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে প্রাথমিকভাবে ৫১টি দেশ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে জাতিসংঘ। বর্তমানে এর সদস্য সংখ্যা ১৯৩।

যাত্রা শুরুর পর থেকে সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দ্বন্দ্ব নিরসন, পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো, নিরাপত্তা জোরদার, উন্নয়ন তরান্বিত করা এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘ একমাত্র বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান যেখানে ধনী-গরিব, ছোট-বড় সব দেশই সদস্য এবং একমাত্র প্ল্যাটর্ফম যেখানে সবাই একসঙ্গে আলোচনা করতে পারে এবং কাজ করতে পারে। জাতিসংঘকে কীভাবে আরও শক্তিশালী এবং নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করানো যায় তা নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং দেশ। 

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ সৃষ্টি হলে, জাতিসংঘের সদস্য হতে চেষ্টা শুরু করে বাংলাদেশ। পরে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে। ওই বছরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় বক্তব্য দেন।

সদস্য হওয়ার ‍শুরু থেকেই জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে বাংলাদেশ। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে অসামান্য অবদান রাখছে এমন দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।

সচরাচরভাবে জাতিসংঘ দিবসে বিভিন্ন ধরনের সভা-সমাবেশ, আলোচনা-অনুষ্ঠান এবং প্রদর্শনীর মাধ্যমে উদযাপিত হয়। এ দিবসের মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্ববাসীর কাছে জাতিসংঘের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যকে উৎসর্গ করা। মূলত দিবসটিতে জাতিসংঘের বৈশ্বিক অর্জন ও উদ্দেশ্যকে জনসমক্ষে তুলে ধরা হয়। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ তাদের সদস্যভূক্ত দেশসমূহে দিবসটিকে ছুটির দিন হিসেবে পালনের জন্য সুপারিশ করে। 

জাতিসংঘের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ৭টি।

১. শান্তি ভঙের হুমকি ও আক্রমণাত্মক প্রবণতা ও কার্যকলাপ দূর করে বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
২. সব মানুষের সমান অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতির মধ্যে সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব জোরদার করা।
৩. অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পুরো জাতির মধ্যে সহযোগিতা গড়ে তোলা।
৪. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তোলা।
৫. আন্তর্জাতিক আইনের সাহায্যে আন্তর্জাতিক বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিত করা।
৬. প্রত্যেক জাতির আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের স্বীকৃতি এবং তা সমুন্নত রাখা।
৭. উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের জন্য জাতিসংঘের কার্যধারা অনুসরণ করা।

ইতোপূর্বে গঠিত লিগ অব নেশনস বিলুপ্ত হওয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের আরেকটি সংস্থা গঠনের তীব্র প্রয়োজন অনুভূত হয়। মূলত তা থেকেই বিশ্বের সর্বোচ্চ ক্ষমতার এই আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থাটি গঠিত হয়েছে।