১৭ অক্টোবর ২০২৩, ১৪:৪৩

ব্লিঙ্কেনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেন অপেক্ষা করালেন সৌদি যুবরাজ সালমান

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এবং সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।   © সংগৃহীত

গত শনিবার সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করতে যেয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। অবশেষে সেদিন দেখা করতে ব্যর্থ হয়ে পরের দিন (রবিবার) সালমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্টে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। 

বৈঠকটি মূলত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধে সৌদির সমর্থন যোগাতে ব্লিঙ্কেনের প্রচেষ্টার অংশ ছিল বলে রিপোর্টে বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে বৈঠক না হওয়া এবং যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদির ভিন্নমত থাকায় বৈঠকটির সফলতা নিয়ে বিশ্লেষকেরা সন্দিহান প্রকাশ করেছেন। তবে গণমাধ্যমে ব্লিঙ্কেন বলেন, "সৌদি যুবরাজ সালমানের সাথে 'খুব ফলপ্রসূ' আলোচনা হয়েছে।"

সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত নিউজ এজেন্সি এসপিএ-এর তথ্যমতে, বৈঠকে যুবরাজ সালমান গাজার উপর ইসরায়েলি অবরোধ তুলে নেওয়াসহ সংঘাত প্রশমনের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন। একইসাথে চলমান যুদ্ধে যাতে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা হয় সেটির প্রতিও তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

এছাড়াও ব্লিঙ্কেনকে যুবরাজ সালমান চলমান ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে ও শান্তি প্রতিষ্ঠায় রিয়াদের চলমান কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সম্পর্কে অবহিত করেন। সম্প্রতি তিনি ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সাথেও কথা বলেছেন।

এছাড়াও বৈঠকে যুবরাজ সালমান ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকার অর্জন এবং স্থায়ী শান্তি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর প্রদান করেন। অন্যদিকে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলার সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, "হামাসের হামলার বিরুদ্ধে আত্মরক্ষা করার অধিকার ইসরায়েলের রয়েছে। এমনকি এই ঘটনা যাতে আর কখনও না ঘটে সেটি নিশ্চিতের চেষ্টা করার অধিকারও দেশটির রয়েছে।"

ব্লিঙ্কেন আরও বলেন, "আমি যে দেশে গিয়েছি সেখানেই এই সংঘাত যাতে আর না ছড়ায় সেটি নিশ্চিত করার জন্য ঐ দেশগুলোর সদিচ্ছা দেখেছি। তারা তাদের নিজস্ব প্রভাব ও সম্পর্ক ব্যবহার করছে যাতে এমনটি আর না ঘটে।"

যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইসরায়েল গাজায় খাবার, বিদ্যুৎ, তেল ইত্যাদি প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। ফলে এই উভয় ক্রসিংই এখন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে।  এমতাবস্থায় গাজা থেকে বের হওয়ার একমাত্র পোস্ট রাফাহ ক্রসিং। এই ক্রসিং পার হলে মিশরের সিনাই মরুভূমি।