২০ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীদের বিচার দাবি করা উপাচার্য
শিক্ষার্থীদের হাতে হেনস্থা ও হেনস্থার ঘটনার বিচার চেয়ে উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ডিনদের নিয়ে গেল বুধবার রাতে অনির্দিষ্টকালের অনশনে বসেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। তবে অনশন শুরুর প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুরোধ এ কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ব়্যাগিংয়ের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনার সুরাহা করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যাম্পাসের অরবিন্দ ভবনের পার্কিং স্থানে অনশনে বসেন উপাচার্য।
অনশন প্রত্যাহার শেষে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ‘অফিসার ও স্টাফদের অনুরোধে আমরা অনশন তুলে নিয়েছি। তারা আমাদের অনুরোধ করেছেন। ওনারা দায়িত্ব নিয়েছেন শিক্ষার্থীদের বোঝানোর। আমরা তাদের মতকে সম্মান জানিয়ে ধর্না তুলে নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের বিচার চেয়ে অনশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
এর আগে বৃহস্পতিবার অনশনে বসেই দাপ্তরিক বিভিন্ন কাজ ও ফাইলে সই করেন উপাচার্য এবং ডিনরা। উপাচার্য বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের উপর গায়ের জোর দেখাতে পারি না। সেই কারণে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করেছি। আশা করি শিক্ষার্থীরা শুভবুদ্ধির পরিচয় দেবেন।’
গত ২৬ সেপ্টেম্বর র্যাগিং ইস্যুতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে চলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের (ইসি) বৈঠক। সেই আলোচনা অমীমাংসিতভাবে শেষ হলে বুধবার ফের বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু বৈঠকের আলোচ্য বিষয় মনঃপুত না হওয়ায় ছাত্ররা স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের হাতে কাউন্সিলের অন্য সদস্যদের হেনস্থা ও অপমানিত হওয়ার অভিযোগ তুলে উপাচার্য বলেন, ইসি বৈঠক ঠিকভাবে করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটা এক ধরনের ব়্যাগিং। পরে বুধবার রাত থেকে অনশন শুরু করেন তারা। বৃহস্পতিবারও এ কর্মসূচি চালিয়ে যান। এরপর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের কাছে অনুরোধ করে তিনি এ কর্মসূচি স্থগিত করেন।