ভারতের স্কুল শিক্ষায় ড্রোন, থ্রিডি প্রিন্টিং, রোবোটিকস ও এআই
ভারতের স্কুল শিক্ষায় আসছে আমূল পরিবর্তন। সম্প্রতি দেশটির সিবিএসই স্কুলগুলিকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এতে বলা হয়েছে, ড্রোন, থ্রিডি প্রিন্টিং, রোবোটিকস এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলজেন্সের মতো কোর্সগুলো পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত কতে।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের বাজেটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৌশল বিকাশ যোজনা ৪.০ চালু করার ঘোষণা করেছিল। স্কিল হাব ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা যতে নিজেদের জ্ঞান ও দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে, সে জন্যই কৌশল বিকাশ যোজনার চতুর্থ সংস্করণ চালু করে সরকার।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা ৩.০ এর অধীনে সব সিবিএসই স্কুলকেই 'স্কিল হাব' খোলার জন্য উৎসাহিত করা হয়েছিল। ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষা নীতি মেনে কৌশল বিকাশ যোজনার সূচনা করা হয়েছে। স্কুল স্তরেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো এর মূল লক্ষ্য।
স্কুলের পাঠ্যক্রমে ভোকেশনাল শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ যুক্ত করতে সচেষ্ট হয় সরকার। পরবর্তীতে ভোকেশনাল শিক্ষা থেকে প্রাপ্ত দক্ষতা সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াদের সাহায্য করবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের। পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও এগিয়ে যাবে বলে আশা। আগ্রহী শিক্ষার্থীরা সিবিএসই-র অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে এ বিষয়ে বিশদে জানতে পারবেন।
আরো পড়ুন: অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসেসের ১০ হাজার ডলার করে পাচ্ছে ৩৫ স্টার্টআপ
এ অবস্থায় বিকাশ যোজনা ৪.০-র অধীনে আধুনিক বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলা হয়েছে। সারা বিশ্বেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ চলছে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ বছর বয়সী এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত তরুণী ১০০ কোটি ডলার মূল্যের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কোম্পানি দাঁড় করিয়েছেন মাত্র ১০ মাসে। এ কারণে স্কুলের পাঠ্যক্রমে রোবোটিকস, আর্টিফিশায়ল ইন্টেলিজেন্স, থ্রিডি প্রিন্টিং এবং ড্রোন প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে বলেছে সরকার।
এর আওতায় যারা প্রশিক্ষণ নেবেন, মাথা পিছু তাদের জন্য সরকার ব্যয় করবে ৬ হাজার ৯২৩ টাকা করে। ২০১৫ সাল থেকেই কৌশল যোজনা কার্যকর করে এসেছে কেন্দ্রীয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয়। শিল্প প্রস্তুত কর্মশক্তি তৈরির কথা মাথায় রেখে এ যোজনা কার্যকর করা হয়েছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে দক্ষতা বৃদ্ধির ওপরও নজর দেওয়া হয়েছে। স্কুলছুট ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদেরও এর আওতায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।