আবারও ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার কবলে ভারত, বহু হতাহত
ভারতের বিহার রাজ্যে লাইনচ্যুত হয়ে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত এবং শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১১ অক্টোবর) রাতে দিল্লির আনন্দ বিহার থেকে আসামের গুয়াহাটি যাচ্ছিল দুর্ঘটনাকবলিত নর্থ ইস্ট এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি। দুর্ঘটনায় ওই ট্রেনের ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়। বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিহারের বক্সারের কাছে রঘুনাথপুর স্টেশনের কাছাকাছি স্থানে বুধবার রাত সাড়ে ৯টার পর এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনটি টার্মিনাস থেকে যাত্রা শুরু করে কাছে কামাখ্যা যাচ্ছিল।
ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে এনডিটিভিকে বলেছেন, জাতীয় এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দলগুলো ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আহতদের পাটনার এইমস-এ নিয়ে যাওয়া হবে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার কার্যালয়ও বলেছে, তারা রঘুনাথপুরে ট্রেনটির ‘দুর্ভাগ্যজনক লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনাটি ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে’। এছাড়া বক্সারের জেলা কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে যোগাযোগ করার কথাও জানিয়েছে আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয়।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র বলছে, দিল্লির আনন্দ বিহার থেকে আসামের কামাখ্যায় যাওয়ার পথে বিহারের রঘুনাথপুর রেলওয়ে স্টেশন পার করার পরই হঠাৎ লাইনচ্যুত হয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে ট্রেনটি। এতে ট্রেনের ২১টি লাইনচ্যুত বগির মধ্যে দুটি এসি ৩ টায়ার কোচ একে অপরের ওপরে উঠে যায়। চারটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের জমিতে পড়ে।
দুর্ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান পূর্ব-মধ্য রেলওয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। রাতের অন্ধকারে প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজ শুরু করতে সামান্য বেগ পেতে হলেও রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছে সকল কামরা থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল।
প্রসঙ্গত, এর আগে চলতি বছরের ২ জুন স্মরণকালের অন্যতম ভয়াবহ ট্রেন দূর্ঘটনার কবলে পড়ে ভারত। ওই দিন ভারতের ওড়িশায় তিনটি ট্রেনের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ৪ বাংলাদেশীসহ অন্তত ২৮৮ মানুষ মৃত্যুবরণ করে এবং হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়।