জ্বালানীর অভাবে বিদ্যুৎহীন গাজা
জ্বালানির অভাবে বন্ধ হয়ে গেলো অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন। এর ফলে পুরো গাজা বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। বুধবার (১১ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এরআগে ইসরায়েলের অবরোধের কারণে গাজায় খাবার, সুপেয় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েল থেকে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হতো, সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বাসিন্দারা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হওয়ার চূড়ান্ত সতর্কবার্তা পান। এর এক ঘণ্টা পরেই অন্ধকার হয়ে যায় সব কিছু। বিদ্যুৎ না থাকায় গাজার হাসপাতালগুলোকে এখন কেবল জেনারেটরের ওপর ভরসা করে চলতে হবে। সেটিও চালানো যাবে আর বড়জোর দুই থেকে চারদিন। এরপর শেষ হয়ে যাবে সব জ্বালানি।
গাজার কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ দীর্ঘস্থায়ী হলে বড় ধরনের ‘মানবিক বিপর্যয়’ নেমে আসবে। এখানে প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করেন। ইতিমধ্যে হামাস–নিয়ন্ত্রিত গাজা কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইসরায়েলের অবরোধের কারণে ‘সব ধরনের পণ্য সরবরাহ ও সেবা’ ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।
আরও পড়ুন: গাজায় অভিযান চালাতে প্রস্তুত ইসরায়েল, সীমান্তে লাখ লাখ সেনা
গাজার বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ জানায়, ইসরায়েলি অবরোধের কারণে জ্বালানির অভাবে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্রটি কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এতে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়তে পারে গাজা।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর গত রোববার থেকে গাজার ওপর ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ আরোপ করেছে ইসরায়েল। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োয়াভ গালান্ট ঘোষণা দিয়েছে, গাজাকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করার পাশপাশি অঞ্চলটিতে খাদ্য বা জ্বালানি কোনো কিছুই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
এদিকে, গাজার ওপর ইসরায়েলের এই সর্বাত্মক অবরোধকে যুদ্ধাপরাধ ও আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভল্কার তুর্ক মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতি এমনিতেই খারাপ ছিল। ফলে সর্বাত্মক অবরোধ আরোপে সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে পড়বে।