১১ অক্টোবর ২০২৩, ০০:৩০

ইসরায়েলে নতুন করে মুহুর্মুহু রকেট ছুড়ল হামাস

গাজার আকাশে শুধু রকেটের ধোঁয়া  © সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজা ও লেবানন থেকে ইসরায়েলের মূল-ভূখণ্ড লক্ষ্য করে একযোগে রকেট হামলা শুরু করেছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও হিজবুল্লাহ। বেঁধে দেয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরপরই ইসরায়েলে রকেট হামলা শুরু করে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। গাজায় ইসরায়েলি ভয়াবহ হামলার মধ্যেই ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আশকেলনের বাসিন্দাদের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ৫টার মধ্যে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠীটি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির সাংবাদিক অ্যালিস কাডি আসকেলন থেকে জানিয়েছেন, বিকেল ৫টার কিছু পরই গাজা উপত্যকা থেকে একসঙ্গে কয়েকশ রকেট ছোড়া হয়।

তিনি আরও জানান, হামলার আগে তিনিসহ অনেক বাসিন্দা আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যান। নতুন করে হামাস রকেট ছোড়ার পর সেখানকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এবং পরবর্তীতে কি হবে— এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তারা। বিবিসির এ সাংবাদিক জানিয়েছেন, গত কয়েক মিনিটে তারা রকেট বিস্ফোরণের অনেক শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

গাজা থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আসকেলনে রকেট ছুড়েছে হামাস। তিনি আরও জানিয়েছেন, হামলার কয়েক মিনিট আগে থেকেই সেখানকার সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মোবাইল ফোনে অব্যাহতভাবে বার্তা পাঠানো হয়।

এদিকে হামাস যখন ইসরায়েলে রকেট ছুড়ছে তখন অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অব্যাহতভাবে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ৮৩০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।

এর আগে সোমবারও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। নতুন করে ইসরায়েলের দুই শহরে ১২০টি রকেট ছোড়ার দাবি করেছে এ সশস্ত্র গোষ্ঠী। খবর আল জাজিরা।

এর আগে, গত শনিবার (৭ অক্টোবর) ইসরায়েলে একযোগে পাঁচ হাজার রকেট দিয়ে হামলা চালিয়েছে হামাস। এতে এখন পর্যন্ত এক হাজার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কয়েক হাজার। অন্যদিকে হামাসের হামলার পর পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল বাহিনী। ইতিমধ্যে দেশটি যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর পাল্টা হামলায় অন্তত ৮৪৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। 

এদিকে, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নজিরবিহীন হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের ৯ শতাধিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলিদের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশের অর্ধশতাধিক নাগরিক শনিবারের এই হামলায় নিহত হয়েছেন। আহত ও অপহরণের শিকার হয়েছেন শতাধিক বিদেশি নাগরিক। তাদের অনেকেই সেখানে আয়োজিত সংগীত উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন।