হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত বেড়ে ৯০০
ইসরায়েল সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে বিশাল শক্তি প্রয়োগের কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সতর্ক করে বলেছেন, কয়েক দশকের মধ্যে ইসরায়েলের মাটিতে সবচেয়ে খারাপ হামলা হয়েছে। এখন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করেছে। শনিবারের আকস্মিক হামলার পর থেকে ইসরায়েলে প্রায় ৯০০ জন মারা গেছে।
এর মধ্যে একটি সঙ্গীত উৎসব হামাসের বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ২৫০ জন। ইসরায়েলও গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করলে ৬৯০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এছাড়া হামাসের কাছে অনেক ইসরায়েলি জিম্মি আছে। তাদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে অনুসন্ধান করছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এর আগে, গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বলা হয়। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের ওপর নির্ভর করে।
শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকেই বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ছাড়াই আছে। ইতিমধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ সতর্ক করে বলেছে, অবশিষ্ট জ্বালানি দিয়ে হাতে গোনা কয়েক দিন মাত্র চলা যাবে।
আরও পড়ুন: অবরুদ্ধ গাজায় খাবার ও বিদ্যুৎ কিছুই ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল
এদিকে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এসময় তিনি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে মোকাবিলায় ৩ লাখ রিজার্ভ সৈন্য প্রস্তুত রেখেছেন বলে জানান। টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৩ সালে ইয়ম কাপ্পুর যুদ্ধের পর ৪ লাখ রিজার্ভ সৈন্য প্রস্তুত করে ইসরায়েল। আর হামাসের হামলার পর এই প্রথম এত সৈন্য প্রস্তুতের কথা জানাল তেল আবিব।
জাতির উদ্দেশ্যে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল যুদ্ধের মধ্যে আছে, তাই আমরা আর যুদ্ধ শুরু করতে চাই না। আমাদের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েল যুদ্ধ শুরু না করলেও এটি ভালোভাবে শেষ করবে।