আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাবস্থার ঘোষণা ইসরায়েলের
আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধাবস্থার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা। এর মাধ্যমে দেশটির সরকার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।
রোববার (৮ অক্টোবার) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করে।
নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ওপর যুদ্ধ আরোপ করেছে।
এদিকে ফিলিস্তিনের পাশাপাশি ইসরায়েলেও নিহতের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ ছাড়িয়েছে। নিহতদের মধ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।
সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমাদের লক্ষ্য হলো গাজার আশপাশে বসবাসকারী সব নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া।
এদিকে সাধারণ মানুষকে চলমান লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা।
ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত থাকায়, আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা একটি নতুন বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি জনগণকে এই যুদ্ধে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে পাঁচ হাজারের বেশি রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতেই থেমে থাকেনি হামাস যোদ্ধারা। সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও ঢুকে পড়ে তারা।
এরপরই শুরু হয় দুই পক্ষের লড়াই। ইসরায়েলের মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় লড়াই চলছে। তাছাড়া গাজার বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে পাল্টা হামালা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা তিনশ ছাড়িয়েছে।