ঐতিহাসিক রেকর্ড ভেঙে সেরা ১০–এ প্রবেশের দ্বারপ্রান্তে চীনা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে সব সময় একচেটিয়া রাজত্ব করেছে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ফোর্বস বলছে, ঐতিহাসিক এ রেকর্ড ভেঙে সেরা দশের তালিকায় প্রবেশ করতে যাচ্ছে চীন।
টাইমস হায়ার এডুকেশনসের বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং অনুসারে, দুটি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় এই সেরা দশের ঠিক নিচেই আছে। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটির অবস্থান শীর্ষ ১২–এ। টাইমস হায়ার এডুকেশনসের বিশ্ববিদ্যালয়ের এ র্যাঙ্কিং প্রভাবশালী সর্বোচ্চ তিন ব্যবস্থার র্যাঙ্কিংয়ের মধ্যে একটি।
দুই বছর আগেও এই তালিকার সেরা ১০০–এ মাত্র দুটি চীনা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, এর মধ্যে শীর্ষটির অবস্থান ছিল ২৭ নম্বরে। চীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এটি বেশ যুগান্তকারী পরিবর্তন বলে দেখা হচ্ছে। এ তালিকার সেরা দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সাতটিই যুক্তরাষ্ট্রের।
চীনের সিনহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬তম থেকে ১২তম অবস্থানে উঠে আসা বিশ্বমঞ্চে চীনা উত্থানের প্রতিনিধিত্বই করছে। এরপরই ১৪তম অবস্থানে রয়েছে পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। অন্য দুই র্যাঙ্কিং ব্যবস্থা হলো— কিউএস বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং এবং একাডেমিক র্যাঙ্কিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ। এ দুই র্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সর্বোচ্চ অবস্থান যথাক্রমে ১৭ তম ও ২২ তম।
টাইমস হায়ার এডুকেশনসের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রধান ফিল ব্যাটি ফোর্বসকে বলেন, ‘চীন ব্যতিক্রম ও ধারাবাহিক উন্নতির এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এর পেছনে রয়েছে দেশটির কয়েক দশক ধরে দারুণ রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও উদার অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি।’
টাইমস হায়ার এডুকেশনস র্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশ বিশ্ববিদ্যালয় হলো—
১. অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাজ্য)
২. স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র)
৩. ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (যুক্তরাষ্ট্র)
৪. হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র)
৫. ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাজ্য)
৬. প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র)
৭. ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (যুক্তরাষ্ট্র)
৮. ইম্পিরিয়াল কলেজ লন্ডন (যুক্তরাজ্য)
৯. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কেলি (যুক্তরাষ্ট্র)
১০. ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয় (যুক্তরাষ্ট্র)
এ র্যাঙ্কিং অনুসারে, ১ হাজার ৯০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৭৩৭টিই এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত।