৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৩:২৫

টক শো পরিণত হলো রেসলিং শো-তে

টক শো-তে মারামারিত জড়িয়ে পড়েন দুই নেতা  © সংগৃহীত

ভোটের দামামা বাজতেই পাকিস্তানে চড়ছে রাজনীতির পারদ। চ্যানেলে চ্যানেলে চলছে টক শো। আর সেখানেই নজিরবিহীনভাবে হাতহাতিতে জড়ালেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আইনজীবী ও পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের এক নেতা। ক্যামেরার সামনেই চলল চড়-ঘুষি-লাথি। টক শো পরিণত হলো রেসলিং শো-তে। 

পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের আইনজীবী শের আফজাল খান মারওয়াত ও পিএমএল-এনের সিনেটর আফনান উল্লাহ খান সম্প্রতি এক টিভি টক শোতে এভাবে মারামারি বাধান।

দুই নেতাই টক শোতে ওই মারামারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পিএমএল-এনের সিনেটর আফনান মাইক্রোব্লগিং সাইট 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) ঘটনাটি নিয়ে লিখেছেন।

টক শোতে ইমরানের আইনজীবী ও পিএমএল-এনের সিনেটরের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হচ্ছিল। পরস্পরকে গাল দিচ্ছিলেন তারা। একপর্যায়ে হঠাৎ মারওয়াত সিনেটরকে আক্রমণ করে বসেন।

প্রথমে দুই নেতা একে অপরকে ধাক্কা মারেন। তারপর তারা পরস্পরকে চড় এবং শেষে ঘুসি মারতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে শেষে টক শোর উপস্থাপক দুজনকে আলাদা করেন।

এক্সে সিনেটর আফনান লেখেন, মারওয়াত তাকে প্রথম আক্রমণ করেন। পাশাপাশি লেখেন, সহিংসতায় বিশ্বাস না করলেও তিনি 'নওয়াজ শরিফের সেনা'।

আরও পড়ুন: ‘পাকিস্তান ভিক্ষা করছে, ভারত চাঁদে যাচ্ছে’

সিনেটর লেখেন, 'মারওয়াতকে আমি যে মার দিয়েছি, তা সব পিটিআই নেতাকর্মী, বিশেষ করে ইমরান খানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হয়ে থাকবে। কারও সামনে তারা মুখ দেখাতে পারবে না। বড় সানগ্লাস পরে রাস্তায় বেরোতে হবে তাদের।'

অন্যদিকে মারওয়াত আরেকটি পোস্টে দাবি করেন, ওই 'অপ্রীতিকর ঘটনা' নিয়ে টক শোর উপস্থাপক 'ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছেন'।

এক্সে নিজের পোস্টে মারওয়াত লেখেন, 'তিনি গুজব ছড়াচ্ছেন, আমার প্রতিপক্ষ নাকি সুপারম্যান ছিলেন। তিনি সত্যি কথাটা বলছেন না। আসল সত্যিটা হচ্ছে, আফনান উল্লাহ স্টুডিও থেকে পালিয়ে পাশের একটি কক্ষে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পরে তার অনুষ্ঠান দেখার পর আমি বিষয়টি জানতে পারি।' সিনেটরের বিরুদ্ধে 'মানহানি ও ফৌজদারি মামলা করার' পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান তিনি।

পাকিস্তানে অবশ্য টক শোতে এরকম মারামারির ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগে ২০২১ সালেও টক শোতে সাবেক পিপিপি আইনপ্রণেতা আবদুল কাদির এবং তৎকালীন পিটিআই নেতা ড. ফিরদৌস আশিক আওয়ান মারামারি বাধিয়েছিলেন। ওই ঘটনার ভিডিও অনলাইন দুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।