১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৬:২৪

মিসরের স্কুলে নেকাব নিষিদ্ধ, হিজাব পরতেও বাধ্য করা যাবে না

কায়রোতে নিকাব পরে এক মহিলা ছবি তুলছেন  © সংগৃহীত

মুসলিম বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে মেয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য মাথা ও মুখঢাকা নেকাব নিষিদ্ধ করেছে মিসর সরকার। সোমবার দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই আদেশ জারি করেছে বলে। দেশটির দৈনিক আখবার আল ইওম’র বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে সরাসরি ‘নেকাব’ নামটি উল্লেখ করা হয়নি। বলা হয়েছে, ‘মুখমন্ডল আড়াল করে রাখে এমন কোনো পোশাক আর এখন থেকে স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে না।’

রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেমবর থেকে চালু হতে যাওয়া নতুন  শিক্ষাবর্ষ থেকেই কার্যকর হবে এই নিষেধাজ্ঞা। মিসরের শিক্ষামন্ত্রী রেদা হেগাজি গতকাল সরকারের পক্ষ থেকে নিকাব নিষিদ্ধ করার ঘোষণা করেন।

এদিকে শিক্ষামন্ত্রী জানান, নিকাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও হিজাব পরে ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারবেন। অর্থাৎ, রীতি অনুযায়ী, ছাত্রীদের চুল ঢেকে রাখার ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়নি। এদিকে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, 'কোনও ছাত্রী হিসাব পরবে কি পরবে না, তা যেন তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত হয়। বাবা-মায়ের সেই সিদ্ধান্তের বিষয়ে অবগত থাকা উচিত। ছাত্রীকে কোনও কিছু করতে যেন বাধ্য না করা হয়।'

উল্লেখ্য, বিগত বহু বছর ধরেই স্কুলে ছাত্রীদের নিকাব পরা নিয়ে বিতর্ক চলছে মিসরে। বহু মানুষ এই বিষয়টি নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে আসছিলেন। আসন্ন শিক্ষাবর্ষ থেকে সেদেশের স্কুলে নিকাব নিষিদ্ধ হল। এর আগে অনেক সরকারি ও প্রাইভেট স্কুল নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তবে সরকারি স্তরে তা করা হল এই প্রথম। এর আগে ২০১৫ সালে কায়রো বিশ্ববিদ্যালয় এক নির্দেশিকা জারি করে শিক্ষিকাদের নিকাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ২০২০ সালে আদালতও সেই নিষেধাজ্ঞার সমর্থনেই রায় দিয়েছিল।