০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:১৯

প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশি যুবকের ঠাঁই হলো কারাগারে

আলিপুরদুয়ারে পুলিশ হেফাজতে আবদুল সুফিয়ান  © সংগৃহীত

ফেসবুক প্রেমের সম্পর্ক হয় বাংলাদেশি প্রেমিক ও ভারতীয় প্রেমিকার। প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশে ঘর সংসার করার স্বপ্ন ছিল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের এক তরুণীর। কিন্তু প্রেমের টানে ভারতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে বাংলাদেশি প্রেমিক আবদুল সুফিয়ান। আর তাতেই এই প্রেমিকের ঠাঁই হয়েছে ভারতের কারাগারে। তাকে সহযোগিতার জন্য সঙ্গে আসেন রুবা আখতার নামে এক বান্ধবী। 

ভারতীয় তরুণীর পরিবারের অভিযোগ- তার বয়স ১৬, নাবালিকা। তাকে ‘অপহরণের’ চেষ্টা করছিল ওই বাংলাদেশি যুবক। এমন অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। আর প্রেমের আড়ালে ওই তরুণীকে ‘পাচারের’ অভিযোগে দুই বাংলাদেশি যুবক-যুবতীকে আটক করা হয়। রিমান্ডে নিয়ে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।     
    
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আট মাস আগে সুফিয়ানের সঙ্গে পরিচয় হয় আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম থানার ওই তরুণীর। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তারা। বাংলাদেশ গিয়ে ঘরসংসার পাতার স্বপ্নে বিভোর হয়ে যায় ওই কিশোরী। ২৭ আগস্ট ‘নিখোঁজ’ হয়। পরদিন কুমারগ্রাম থানা পুলিশের কাছে এ বিষয়টি লিখিতভাবে জানায় তার পরিবার। 

এরপরই তার খোঁজে নামে আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশ। পুলিশের ধারণা- পাচারকারী চক্রের খপ্পরে পড়েছে ওই কিশোরী। পুলিশ মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে আসামে তার অবস্থান শনাক্ত করে। সুফিয়ান ও রুবা আখতারকে বুধবার মেঘালয়ের শিলং থেকে আসা একটি বাস থেকে আটক করে পুলিশ। বাসটি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই তরুণীকে। তাদের তিনজনকেই আলিপুরদুয়ার জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। 

পুলিশ দুই বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও ফুসলিয়ে অপহরণের মামলা করে এবং শনিবার আলিপুরদুয়ার জেলা দায়রা ও জজ আদালতে পাঠায়। আদালত অভিযুক্তদের ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

তবে পাচারের অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন আবদুল সুফিয়ান। তিনি বলেন, ‘ওই মেয়েটি আমার সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিল। পাচার করার অভিযোগ সত্য নয়।’ 

কুমারগ্রাম থানার কর্মকর্তা বাসুদেব সরকার জানান, অভিযুক্তরা ওই ভারতীয় মেয়েটিকে নিয়ে বাংলাদেশে যাচ্ছিল। আলিপুরদুয়ার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।আলিপুরদুয়ার জেলার পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, একবার দেশের সীমান্ত পার হলে ওই কিশোরীর আর কোনো হদিস পাওয়া যেত না।