০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:৩০

ফুটবল ফেটে যাওয়ায় হোস্টেলের ৪৫ শিশুর দু’দিনের খাবার বন্ধ

প্রাথমিক তদন্তে হোস্টেল সুপার পিটার সাদমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে  © টাইমস অব ইন্ডিয়া

আবাসিক স্কুলের শিশু শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ক্লাস শেষে বিশ্রাম নিয়ে বিকেলে ফুটবল খেলতে নামে। তবে একদিন খেলতে গিয়ে ফুটবল ফেটে গেলে খবর পান হোস্টেল সুপার। পরে ৪৫ শিক্ষার্থীর দু’দিনের খাবার বন্ধ রাখেন তিনি। ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের একটি মিশনারি স্কুলে এ ঘটনা ঘটেছে গত ২৮ আগস্ট।

পরে হোস্টেল সুপারের পদত্যাগ ও শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবক ও স্থানীয়রা প্রাথমিক তদন্তে স্কুলটির হোস্টেল সুপার পিটার সাদমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছত্তিশগড়ের সুরুজপুরে স্কুলটি পরিচালনা করে আম্বিকাপুর বিশপ হাউস। ২১ জনের আবাসনসুবিধা থাকলেও স্কুলটিতে দুটি কক্ষে ১৪১ জন দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী থাকে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, খাবার বন্ধ করে দেওয়ায় বিপদে পড়ে শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয়রা বিস্কুটসহ শুকনো খাবার দেয়। এমন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি জানাজানি হয়। স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবকদের অভিযোগ, এ সুপারের অধীন শিশুরা নিরাপদ নয়।

ফাদার পিটার সাদম ক্ষুব্ধ হয়ে শিশুদের খাবার বন্ধ করে দেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফুটবল ফাটিয়ে ফেলায় শিশুদের অনুশোচনা করা উচিত বলে সতর্ক করেন তিনি। তদন্তে যুক্ত ছিলেন জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পরে তাকে স্কুলের সব ধরনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশপ হাউস। তাঁকে আম্বিকাপুরে সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

হোস্টেল সুপার পিটার সাদম বলেন, শিশুদের জন্য খেলাধুলার সব সামগ্রীর ব্যবস্থা করলেও তারা নষ্ট করে ফেলে। লড়াই করে টিকে থাকার বিষয়টি তাদের শেখা উচিত। খারাপ কাজের জন্য শাস্তি হওয়া উচিত তাদের। তাদের দুই বেলা খেতে দেওয়া হয়নি। দু’দিন অভুক্ত রাখার অভিযোগ সত্য নয়।