ভোট নিয়ে চাপ দিলে বাংলাদেশ চীনের ঘনিষ্ঠ হবে, যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কতা ভারতের
বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে কয়েক মাস আগেই আওয়ামী লীগ সরকারকে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র’র এ মনোভাবের জেরে সেদেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। পরে ভোট নিয়ে বেশি চাপ দিলে বাংলাদেশ চীনের ঘনিষ্ঠ হবে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছে ভারত।
হিন্দুস্তান টাইমস ও হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার খবরে এ কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে বেশি চাপ দিলে তারা চীনের ঘনিষ্ঠ হয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রকে এমনই বার্তা দিয়ে সতর্ক করেছে ভারত। আর তাতে কট্টরপন্থীরা মদত পাবে এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে বলেও মত ভারতের। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগ সরকারকে 'হুঁশিয়ারি' দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র’র এ মনোভাবের জেরে সেদেশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। আর তারই মাঝে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ইস্যুতে মধ্যস্থতার জন্য ভারতের দ্বারস্থ হয়েছিল বাংলাদেশ। এ আবহে যুক্তরাষ্ট্রকে স্পষ্ট ভাষায় ভারত জানিয়ে দিল, নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দিলে লোকসান হবে তাদেরই। অবশ্য ভারত এও জানিয়েছে, অবাধ নির্বাচনের পক্ষে আছে তারাও।
খবরে আরও বলা হয়েছে, এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। তবে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন শেখ হাসিনা সরকার সে অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। এরই মাঝে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিনকেন ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে অসম্মান করা ব্যক্তিদের মার্কিন ভিসা দেওয়া হবে না। এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের কিছু কর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
২০০৯ সালে বাংলাদেশের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ অপরজেয় হয়ে উঠেছে। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে দমিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের আগে অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশের ওপর। এ আবহে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে চিড় ধরেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে বিজেপির আমন্ত্রণে সম্প্রতি ভারতে যায় আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি দল। ভারতের শাসকদলের একাধিক নেতার সঙ্গে দেখা করে বাংলাদেশের বিরোধী বিএনপি-জামাত জোট নিয়ে 'সতর্কবার্তা' দিয়েছে আওয়ামী লীগ সদস্যরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দেখা করেছিলেন বাংলাদেশি নেতারা।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্রে 'অসন্তুষ্ট', তখন ভারত সরকার এবং ভারতীয় জনতা পার্টি যে আওয়ামী লীগের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে। উপমহাদেশের রাজনীতির ক্ষেত্রে যা উল্লেখযোগ্য বিষয় বলে হিন্দুস্তান টাইমস উল্লেখ করেছে।