২০ আগস্ট ২০২৩, ১৬:২০

সন্তানকে মারধর করায় শিক্ষকের আঙুল কামড়ে ছিঁড়লেন বাবা

মধ্যপ্রদেশ  © সংগৃহীত

রাগের মাথায় এসে কন্যার স্কুলশিক্ষকের আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে নিয়েছেন এক ব্যক্তি। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার জগন্নাথ সাহু নামের এক ব্যক্তি তার মেয়েকে মারধর করায় স্কুলশিক্ষক মহেন্দ্র সিং এর সাথে হাতাহাতির একপর্যায়ে ডান হাতের অনামিকার অগ্রভাগ কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠিয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার সাহুর সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে স্কুলে গেলে তাকে বিদ্যালয়ের মাঠ পরিষ্কার করতে বলেন মহেন্দ্র সিং। কিন্তু তা করতে অস্বীকার করায় সাহুর মেয়েকে মারধর করেন মহেন্দ্র। পরে বিষয়টি বাড়িতে গিয়ে সাহুকে জানালে তিনি রাগে ফেটে পড়েন এবং তক্ষুনি স্কুলে গিয়ে মহেন্দ্র সিংয়ের সঙ্গে মুখোমুখি বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। খুব দ্রুতই তাঁদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হাতাহাতিতে রূপ নেয় এবং একপর্যায়ে সাহু মহেন্দ্রর ডান হাতের অনামিকার অগ্রভাগ কামড়ে ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ছিঁড়ে ফেলা অগ্রভাগ মেঝেতে ফেলে দিয়ে সাহু পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরাসহ ৫ শিক্ষার্থীর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

সাগুর পরিবারের সদস্যদের দাবি, গত শুক্রবার জগন্নাথ সাহু জানতে পারেন, তাঁর কন্যার স্কুলের শিক্ষক কন্যাকে বেশ মারধর করেছেন এবং তাকে দিয়ে স্কুলের আঙিনা পরিষ্কার করিয়ে নিয়েছেন। এদিকে সাহুর পরিবার সাহুর মুক্তির দাবিতে অনশনে বসেছে এবং ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছে। 

ঘটনার পরপরই সিং পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সাহু মাঝেমধ্যেই স্কুলে গিয়ে হট্টগোল করতেন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ঘটনার দিন সাহু মাতাল ছিলেন এবং দ্রুত গিয়ে তাঁর আঙুল কামড়ে ছিঁড়ে নেন।

রেওয়ার কোতোয়ালি থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিজয় সিং পরিহার বলেছেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বিচ্ছিন্ন আঙুল আদালতে পেশ করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে সাহুকে জেলে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘তবে সাহুর পরিবার দাবি করেছিল, ওই শিক্ষক তাদের মেয়েকে মেরেছেন। কিন্তু চিকিৎসকদের মাধ্যমে পরীক্ষার পর দেখা গেছে বিষয়টি মিথ্যা। তার পরও তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’