ভারতে এবার ১১ তলা থেকে পড়ে ছাত্রের মৃত্যু, র্যাগিংয়ের অভিযোগ
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় যখন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে তোলপাড় তখন আরেক শিক্ষার্থীর রহস্যমৃত্যুর অভিযোগ উঠল অন্য রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। র্যাগিংয়ের ঘটনা কি-না প্রশ্ন উঠছে। এ ঘটনায় বিচারের আশায় পরিবারের সদস্যরা।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কয়েকদিন আগে বিজয়ওড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের হোস্টেলের ১১ তলা থেকে পড়ে রহস্যমৃত্যু হয় মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা সৌরদীপ চৌধুরীর। পরিবারের সদস্যদের অনুমান, ব়্যাগিংয়ের জেরেই মৃত্যু হয়েছে তার।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে পরিবার। সৌরদীপ চৌধুরী। মেদিনীপুরের বাসিন্দা। চলতি বছর মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশ করে অন্ধ্রপ্রদেশের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি হন তিনি। ১৭ জুলাই ছেলেকে ওই কলেজের হস্টেলে রেখে আসেন তাঁর বাবা–মা।
অন্ধপ্রদেশের কে এল বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ভর্তি হন শিক্ষার্থী। এক সপ্তাহের মধ্যে ছেলের মৃত্যুর খবর টেলিফোনে পান শিক্ষার্থীর বাবা। এ ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে গেছে।
গত ২৪ জুলাই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া সৌরদীপের বাবার্ সুদীপ চৌধুরীর কাছে আসে টেলিফোন। তাতে জানানো হয় মৃত্যুর খবর। বলা হয়, ক্যাম্পাসের হোস্টেলের ১১ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে সৌরদীপের। খবর পেয়েই অন্ধ্রপ্রদেশে যায় পরিবারের সদস্যরা। আর বাংলায় নিয়ে আসা হয় পড়ুয়ার দেহ।
কীভাবে মৃত্যু হয়েছে সৌরদীপের? বারবার জানতে চাওয়া হলেও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পক্ষ থেকে তেমন কোনও সদুত্তর মেলেনি! মানসিক নির্যাতন এবং র্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলেছেন ছাত্রের বাড়ির লোকজন। পড়ুয়ার শেষ মেসেজে লেখা ছিল, ‘টাটা’। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সৌরদীপের বাবা সুদীপ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা সেখানে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যেতে দেওয়া হয়নি। হোস্টেলে যেতে দেওয়া হয়নি। থানায় যেতে চাইলেও আটকানো হয়। ময়নাতদন্ত পর্যন্ত করতে দিচ্ছিল না। ১১ তলা থেকে পড়ার কোনও চিহ্নও শরীরে ছিল না। নতুন জামা পরানো ছিল। গালে কাটা দাগ দেখেছি। ঘটনার তদন্তের দাবি তুলে গুন্টুর জেলার তাডেপল্লী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।