পাঁচ বছর নির্বাচন করতে পারবেন না ইমরান খান
তোশাখানা মামলায় ৩ বছরের কারদণ্ড হয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। আদালতে সাজা ঘোষণার পর তাঁকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে তাঁর রায়ের বিরুদ্ধে আজ সকালে তার দল আপিল করেছে। এরই মধ্যে নতুন একটি নিষেধাজ্ঞা আসল বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে।
তোশাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) স্থানীয় সময় রাতে তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন বলেছে, দুর্নীতি চর্চার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এবং তিন বছরের সাজায় দণ্ডিত হওয়ায় পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ পিটিআই-এর প্রধানকে নির্বাচন আইন-২০১৭’র ১৬৭ ধারার অধীনে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইমরান আহমেদ খান নিয়াজি নির্বাচন আইন-২০১৭’র ২৩২ ধারায় ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সংবিধানের ৬৩(১)(এইচ) অনুচ্ছেদের অধীনে অযোগ্য হয়েছেন। একই সঙ্গে তাকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য অযোগ্য ঘোষণা এবং দেশটির সংসদের-৪৫ কুররাম-১ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্যের পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত ৫ আগস্ট পাকিস্তানের বহুল আলোচিত তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পিটিআই প্রধান ইমরান খানকে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক হুমায়ুন দিলাওয়ার। আদালতে রায় ঘোষণার ২৯ মিনিটের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয় দেশটির সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে।
সাবেক ক্রিকেট তারকা থেকে রাজনীতিক বনে যাওয়া ৭০ বছর বয়সী ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের উপহার সামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। বিদেশ সফরের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে পাওয়া এসব উপহার সামগ্রীর মূল্য ১৪০ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপির বেশি।
কিন্তু শুরু থেকেই ইমরান খান তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।