২২ জুলাই ২০২৩, ১৫:২০

ভারতে আবারও দুই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও  © সংগৃহীত

ভারতের মণিপুর রাজ্যে দুই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই দেশটিতে আবারও দুই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এবারের ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, উন্মত্ত জনতার মাঝে দুই মধ্যবয়সী নারীকে চলছে বেধড়ক মারধর। সুযোগ বুঝে ভিড়ের মধ্যেই টেনেহিঁচড়ে খুলে নেওয়া হলো তাদের পোশাক।এরপর নগ্ন অবস্থাতেই চলছে মারধর। হাউমাউ করে কেঁদে চলেছেন দুই নারী। পাশে দাঁড়িয়ে সিভিক পুলিশ (ভলান্টিয়ার)। কিন্তু, তাতেও কমছে না মারের দাপট। 
 
জানা গেছে, মালদার পাকুয়াহাটে নারী নির্যাতনের এই ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। যে ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে আজ শনিবার সকালে।  এই ঘটনায় আবার নির্যাতিতা দুই নারীকেই উল্টো আটক করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে!

আরো পড়ুন: রাবিতে হলের ব্লক দখল করে রাজনীতি, নীরবে চলছে সিট বাণিজ্য

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে মালদার বামোনগোলা থানার পাকুয়াহাটে। এখানেই প্রতি মঙ্গলবার হাট বসে। হাটেই দুই নারীকে পকেটমার সন্দেহে আটক করা হয়। এরপরেই শুরু হয় মারধর। উল্লেখযোগ্য বিষয়, মারধরের ঘটনায় পুরুষদের থেকে মহিলাদের অংশগ্রহণ ছিল তুলনামূলক বেশি। ঘটনার খবর পেয়ে দু তিনজন সিভিক ভলেন্টিয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও উন্মত্ত জনতার হাত থেকে দুই নারীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে তারা ব্যর্থ হন। পরে মানিকচক থানার পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। শনিবার এই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। 
 
পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ভিডিওটি তাদের নজরে আসার পরেই তারা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, পাকুয়াহাটে দুই নারী চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছিলেন। এরপর স্থানীয় নারী ব্যবসায়ীরা চোর সন্দেহে আটক নারীদের মারধর করেছে। পরে ওই দুই নারী এলাকা ছেড়ে চলে যায় বা পালিয়ে যায়। তারা পুলিশে কোনো অভিযোগ করেনি। ব্যবসায়ীরাও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। এখন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে এবং উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
যদিও পুলিশের এই দাবি সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন নির্যাতিতা একজনের মেয়ে। তার দাবি, ভুক্তভোগী দুই নারী তার মা ও চাচি। তারা হাটে লেবু বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। এই সময় এক মিষ্টি বিক্রেতা তাদের চোর অপবাদ দেয়। এরপরেই তাদের বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে সিভিক পুলিশ মারফত তাদের খবর দেয়া হয় এবং মারধরের ভিডিও দেখে মা ও চাচিকে শনাক্ত করেন তিনি। এরপর থানাতে গেলে তিনি জানতে পারেন তার মা ও চাচিকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ। সোমবারের আগে তাদের ছাড়া পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।