১৩ জুলাই ২০২৩, ১৮:২১

দিল্লিতে বন্যা: সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা

দিল্লীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি  © ফাইল ছবি

বন্যায় ভারতের রাজধানী দিল্লীতে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্যার কারণে দিল্লী কর্তৃপক্ষ লোকজনকে বাড়ি থেকে অফিস করারও পরামর্শ দিয়েছে। 

তুমুল বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় দেশটির রাজধানীতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে সতর্ক করে দিল্লী কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার ফলে তিনটি শোধনাগার ভেসে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দিল্লিতে সরবরাহকৃত খাবার পানির পরিমাণ এক চতুর্থাংশের মতো কম হওয়ায় রেশনিং করতে হবে। 

আরো পড়ুনঃ ‘ইউজিসি প্রফেসর’ হলেন দুই অধ্যাপক

টুইটারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, “দিল্লির কিছু কিছু এলাকায় পানির সমস্যা দেখা দিতে পারে। যমুনার পানি কমা শুরু করলে, যত দ্রুত সম্ভব শোধনাগারগুলো চালু করার চেষ্টা করবো আমরা।” 

মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, বন্যার কারণে শহরটির সব স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় রোববার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে, জরুরি কাজে নিযুক্ত নন, এমন সরকারি কর্মীদের অফিসেও আসতে হবে না। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পদ্ধতিতে কাজ করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

হরিয়ানার পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে অস্বাভাবিক তুমুল বর্ষণের কারণে দিল্লির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনা নদীর পানি  শেষ ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় উঠেছে। দুই কোটি জনসংখ্যার এই শহরে কয়েকদিন আগে ভারি বৃষ্টিপাত দেখা গেছে, ফলে জলে তলিয়ে যাওয়া নিচু এলাকাগুলোর অনেক লোক  ত্রাণ শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।

কেজরিওয়াল বলেছেন, “বৃহস্পতিবার যমুনা নদীর পানি এ দফায় সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে পারে, এর মধ্যেই বন্যাদুর্গত এলাকাগুলো থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে হবে। লোকজনের জীবন বাঁচানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি দিল্লির সকল বাসিন্দার কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, জরুরি এই মুহূর্তে সম্ভব সব উপায়ে একে অপরকে সহায়তা করুন।”

জুন থেকে শুরু হওয়া এবারের বর্ষা মৌসুমে দিল্লির কাছে অবস্থিত ভারতের উত্তরের রাজ্যগুলো রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়েছে। হিমালয় ও পাঞ্জাব প্রদেশে এই সময়ের গড়ের তুলনায় যথাক্রমে ১০০ ও ৭০ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। আবহাওয়া বিভাগ বলছে, দিল্লিতেও গড় বৃষ্টিপাতের তুলনায় ১১২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে।