১১ জুলাই ২০২৩, ০৯:৩৯

স্ত্রীর পয়সায় প্রস্তুতি, সরকারি চাকরি পেয়ে আরেক নারীকে বিয়ে স্বামীর

সরকারি চাকরি পেয়ে আরেক নারীকে বিয়ে স্বামীর  © সংগৃহীত

ভারতের মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা কামরু এবং মমতা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন ২০১৫ সালে। বিয়ের সময় কামরু ছিলেন বেকার। স্নাতক পাশ করেও চাকরি পাচ্ছিলেন না। তাই স্বামীকে সরকারি চাকরির জন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছিলেন মমতা। সেজন্য তার পোড়াশোনার খরচ জোগাতে লোকের বাড়িতে বাসন মেজেছেনও স্ত্রী। কিন্তু চাকরি পেয়েই স্ত্রীকে ভুলে যান কামরু। সরকারি ট্যাক্স অফিসারের চাকরি পেয়েই সেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে চাইলেন না স্বামী। বিয়ে করেন আরেক নারীকে। 

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। খবর ইন্ডিয়া টুডে ও আনন্দবাজার। স্বামীর চাকরির পড়াশোনার জন্য গৃহকর্মীর কাজ করতেও দ্বিধা করেননি মমতা। 

সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, ওই সরকারি ট্যাক্স অফিসার কামরুকে মমতাই বলেছিলেন সরকারি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে। কথা দিয়েছিলেন, যাবতীয় খরচ তিনি জোগাবেন। 

মমতার দাবি, স্বামীর জন্য তিনি মানুষের বাড়িতে বাসন মাজা ও ঘর মোছার কাজ করেছেন। ২০১৯-২০ সালের কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হওয়ার পরীক্ষায় সফল হয় তার স্বামী। মধ্যপ্রদেশের রতলামে চাকরিতে যোগদান করেন তিনি। এরপরই সম্পর্ক ভাঙা শুরু হয়। এক পর্যায়ে কামরু মমতাকে তার বাবার বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য করেন। অন্য এক নারীর সঙ্গে থাকতে শুরু করেন নিজের বাড়িতে। মমতাকে তিনি জানিয়ে দেন, আর তার সঙ্গে থাকতে চান না। 

আরও পড়ুন: ৭৪ বছরে একদিনও ছুটি না নিয়ে চাকরি থেকে অবসরে মেলবা

২০২১ সালে এ ঘটনার পর মমতা মামলা করেন কামরুর বিরুদ্ধে। সেই সময় আদালতে কামরু স্ত্রীকে মেনে নেন। তাকে মাসে ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। সম্প্রতি মমতা অভিযোগ করেছেন, কামরু তার প্রতিশ্রুতি পালন করেননি। 

মমতার আইনজীবী সুরেয়াপ্রকাশ গুপ্ত জানান, এর আগে মামলার শুনানির সময় কামরু আদালতে মেনে নেন, মমতা তার স্ত্রী। তাকে মাসে ১২ হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। কিন্তু তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখেননি। এ মামলার পর পরবর্তী শুনানি আগামী ২২ জুলাই বলে জানান তিনি। 

সূত্র: আনন্দবাজার