বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে জরিমানা খোয়াতে হলো অর্ধকোটিরও অধিক
ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস এবং ম্যাসেজের সঙ্গে ইমোজি জুড়ে দিয়ে অনেকেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকেন। কেউ আবার শুধুমাত্র এক বা একাধিক ইমোজি দিয়েই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করে থাকেন। শুধু ‘থাম্বস আপ’ (বৃদ্ধাঙ্গুল উঁচিয়ে দেখানো) ইমোজি ব্যাবহার করে কানাডার একটি প্রতিষ্ঠানের অর্ধকোটিরও অধিক টাকা গুনতে হয়েছে।
২০২১ সালে কানাডার সাসকাচুয়ান প্রদেশে এক ব্যক্তি খাদ্যশস্য কিনতে কৃষিপণ্য উৎপাদনকারী ওই প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন। সেসময় তিনি শস্য কিনতে সুইফট কারেন্ট নামক ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একটি খসড়া চুক্তিও করেন। এরপর ইন্টারনেটে সুইফট কারেন্টের মালিক ক্রিস আচটারের কাছে ওই চুক্তিপত্রের একটি ছবি পাঠান। জবাবে আচটার শুধু একটি ‘থাম্বস আপ’ (বৃদ্ধাঙ্গুল উঁচিয়ে দেখানো) ইমোজি দেন।
আরো পড়ুনঃ বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ, জেনে নিন মশা তাড়ানোর ঘরোয়া উপায়
আচটারের দাবী থাম্বস আপ ইমোজি দিয়ে তিনি শুধুমাত্র চুক্তিপত্রটি পেয়েছেন, এমনটি বুঝিয়েছেন। আর ওই ক্রেতার দাবী, ইমোজি দেখে তিনি ভেবেছিলেন, আচটার ওই চুক্তিতে রাজি হয়েছেন। সেখান থেকেই বিপত্তির শুরু। বলা হয়েছে, এই ইমোজি দিয়ে আচটার বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। সেই ভাবনা থেকে ওই ক্রেতা সুইফট কারেন্টের কাছ থেকে খাদ্যশস্য পাওয়ার আশায় ছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস গড়িয়ে গেলেও আর শস্য পান না। এরপরই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন।
আরেক নাটকীয়তায় আদালতে থাম্বস আপ ইমোজির আসল অর্থ উদ্ধারে দুই পক্ষ নেমে পড়ে। বাদানুবাদ শেষে ওই ক্রেতার পক্ষে রায় যায়। এতে খাদ্যশস্য না পাওয়ার ক্ষতিপূরণ বাবদ সুইফট কারেন্টের মালিক আচটারকে ৬১ হাজার ৭৮৪ ডলার জরিমানা দিতে বলা হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ৬৬ লাখ টাকারও বেশি সমপরিমাণ অর্থ।
বিচারক টি জে কেন আদালতে দুই পক্ষের বিবাদ মেটানোর দায়িত্বে ছিলেন। রায়ে বলা হয়, আগে চুক্তি অনুমোদনের জন্য আচটার থাম্বস আপ ইমোজি ব্যবহার করেছেন বিধায় এবারও তিনি একই উদ্দেশে এই ইমোজি দিয়েছিলেন বলে ধরে নেওয়া হয়েছে। চুক্তিতে যে স্বাক্ষর করার দরকার ছিল, তা আচটার ও তাঁর মুঠোফোন থেকে পাঠানো থাম্বস আপ ইমোজির মাধ্যমে পূরণ হয়েছে।