০৭ জুলাই ২০২৩, ১৬:৪৯

কলকাতায় ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়  © আনন্দবাজার

ভারতের কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের যে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও শিক্ষকদের একাংশের করা মামলায় এ নির্দেশ দিয়েছেন শীর্ষ আদালত। তবে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নতুন করে মামলাটির শুনানি হবে হাইকোর্টে।

নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় প্রথমে ৩৬ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। পরে সংখ্যা বদলে করা হয় ৩২ হাজার। চার মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি জানিয়েছিলেন, চাকরিচ্যুতরা চার মাস স্কুলে যেতে পারবেন। তবে তাঁদের বেতন দেওয়া হবে পার্শ্বশিক্ষকদের বেতনকাঠামো অনুযায়ী।

বিচারপতি আরও জানিয়েছিলেন, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় চাকরিচ্যুতরা অংশ নিতে পারবেন। নতুন ইন্টারভিউতে পাশ করলে চাকরি ফিরে পাবেন তারা।

এ রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরি হারানো প্রার্থীদের একাংশ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ শুনানিতে সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে কিছুটা পরিবর্তন করেন। তারা জানান, ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে পার্শ্বশিক্ষক হিসাবে কাজ করতে হবে না। তাঁরা যেমন ছিলেন, তেমনই থাকবেন।

তবে পর্ষদকে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে বলা হয়। সে প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে ৩২ হাজার শিক্ষককেও। সেখানে তাঁরা ব্যর্থ হলে চাকরি হারাবেন।

পরে হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যান শিক্ষকদের একাংশ ও পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি জে কে মহেশ্বরী এবং কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চে এর শুনানি হয়। শুক্রবার ডিভিশন বেঞ্চ হাইকোর্টের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষককে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে না।

মূল মামলার মামলাকারীদের আইনজীবী হিসেবে রয়েছে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের আইনজীবী হিসেবে লড়েছেন মুকুল রোহতগি, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ দেব বর্মণ।

সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছেন, শিক্ষকদের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট এত দিন যা যা নির্দেশ দিয়েছে, তা খারিজ করা হচ্ছে। নতুন ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হবে। তাঁরা নতুন করে বিচার করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে মামলাটি যাবে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। আনন্দবাজার।