২৮ জুন ২০২৩, ০১:০৭

হার্ভার্ডের অধ্যাপকের বিরুদ্ধে গবেষণায় জালিয়াতির অভিযোগ

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়  © সংগৃহীত

হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের প্রখ্যাত অধ্যাপক ফ্রন্সেসকা জিনোর বিরুদ্ধে গবেষণায় জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। দুই সপ্তাহে তার একজন সহকর্মীসহ বেশ কয়েকজন এ অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবী জিনো তার সর্বশেষ চারটি গবেষণাপত্রে উপাত্তের বিকৃতি ঘটিয়েছেন।

গোল্ডম্যান স্যাকস, গুগল-এর মতো বড় সব প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করা জিনো অসাধুতা ও অনৈতিক আচরণ নিয়ে গবেষণা করেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০-এর বেশি গবেষণাপত্রে কাজ করেছেন তিনি। শুধুমাত্র আচরণবিদ্যার ওপরই ডজনখানেকের বেশি বই রয়েছে তার।

এ মাসের শুরুতে দ্য ক্রনিকল অভ হায়ার এডুকেশন শীর্ষক একটি গণমাধ্যমে অভিযোগের বিষয়টি প্রথম প্রকাশিত হয়। ওই খবর অনুযায়ী, গত এক বছর ধরে জিনো'র সম্পৃক্ততা থাকা বেশ কয়েকটি গবেষণাপত্রের ওপর অনুসন্ধান চালাচ্ছিল হার্ভার্ড।

জিনো'র সঙ্গে অতীতে কাজ করা হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক ম্যাক্স এইচ. বেজারম্যান দ্য ক্রনিকলকে জানান, ২০১২ সালের একটি গবেষণাপত্রে কেউ একজন উপাত্ত বদলে দিয়েছে বলে ধরা পড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুসন্ধানে।

ওই গবেষণার বিষয়বস্তু ছিল কর ও বীমার কাগজপত্রে সততা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হয় কি না তা জানা। দ্য প্রসিডিংস অভ দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অভ সায়েন্সেস গবেষণাটি প্রকাশ করেছিল। পরে এটি ওই জার্নাল থেকে তুলে নেওয়া হয়।

দ্য ক্রনিকল-এ সংবাদ প্রকাশের পর ডেটাকোলাডা নামক একটি তদন্তসংস্থা একই অভিযোগ আনে জিনো'র বিরুদ্ধে।

জিনো'র একাধিক কাজ পর্যালোচনা করে ওই সংস্থাটি দাবি করে, গত এক দশক ধরেই গবেষণাকাজে বিভিন্ন জালিয়াতি করছিলেন জিনো। আর সর্বশেষ জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে ২০২০ সালে।

সংস্থাটি গণমাধ্যমে দাবি করেছে, জিনো'র লেখা অনেক গবেষণাপত্রে ভুয়া উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। এ সংখ্যা কয়েক ডজন হতে পারে।

সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তারা ২০২১ সালেই হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলকে এ বিষয়ে জানিয়েছিল।

জিনো বর্তমানে প্রশাসনিক ছুটিতে আছেন। হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল জিনো'র বিরুদ্ধে এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

তবে লিংকডইন-এ এক বিবৃতিতে জিনো জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ব্যাপারে তিনি অবগত আছেন। তবে এটি প্রত্যাখ্যান বা স্বীকার কোনোটিই করেননি তিনি।