ওয়াগনারের বিদ্রোহের সমাপ্তি ঘোষণা, ফিরবেন ইউক্রেন ঘাঁটিতে
রাশিয়ায় ২৪ ঘণ্টার নানা নাটকীয়তার পর অবসান হলো ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের। রোস্তভ শহর ছেড়ে চলে গেছে ভাড়াটে সেনা দলটির সদস্যরা। তারা ফের ইউক্রেনের ঘাঁটিতে ফিরে যাবেন। ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন যাবেন বেলারুশে। -খবর সিএনএনের
শনিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় মার্সেনারি সেনাদের মস্কো অভিমুখে যাত্রা বন্ধের নির্দেশ দেন বাহিনী প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। তিনি জানান, রক্তপাত এড়াতে সেনাদের ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এর আগে, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো কথা বলেন প্রিগোঝিনের সাথে। এরপরই সমঝোতা হয় দুই পক্ষে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে বলা হয়, অভিযোগ তুলে নেয়া হবে ওয়াগনার প্রধান ও তার দলের বিরুদ্ধে। ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনকে বেলারুশে পাঠানো হবে বলেও জানানো হয়।
এ নিয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, ওয়াগনারের সেনারা ক্যাম্পে ফিরে যাবে। তারা চাইলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে চুক্তি করতে পারবে। ফ্রন্টলাইনে ভূমিকার কারণে তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে না। প্রিগোঝিনের বিরুদ্ধেও ক্রিমিনাল কেস বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন: পুতিন ভয়ে পালিয়ে গেছেন: জেলেনস্কি
তিনি আরও বলেন, আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা ছিল রক্তপাত ও অভ্যন্তরীণ সংঘাত এড়ানো। যাতে অনিশ্চিত পরিস্থিতি তৈরি না হয়। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো প্রিগোঝিনকে ২০ বছর ধরে ব্যক্তিগতভাবে চেনেন। তাই নিজেই এর উদ্যোগ নিয়েছেন।
এর আগে গত ২৩ জুন রাতে এক অডিও বার্তায় হঠাৎই রাশিয়ার সামরিক কমান্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ঘোষণা দেন ভাড়াটে সেনাদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান।
ইউক্রেনের ঘাঁটি থেকে শনিবার ভোরে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রবেশ করে দক্ষিণাঞ্চলীয় রোস্তভ শহরে। দলটি যাত্রা শুরু করে মস্কোর দিকে। জরুরি ভাষণে দেশদ্রোহীদের শাস্তির হুঁশিয়ারি দেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে এই বিদ্রোহের।