বিদ্রোহ থামিয়ে রাশিয়ার শহর ছাড়লেন ভাগনার যোদ্ধারা
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ভাগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন বিদ্রোহ থামিয়ে বেলারুশে গেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো তুলে নেওয়া হবে বলে দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে। রক্তপাত এড়াতে অভিযোগ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কো প্রিগোশিনের সঙ্গে চুক্তিতে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন। সে অনুসারে, বিদ্রোহের কারণে প্রিগোশিনের বিরুদ্ধে যে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল তা তুলে নেওয়া হবে।
পেসকভ বলেন, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ভাগনারের যোদ্ধাদের চুক্তি হবে। ফলে শনিবারের বিদ্রোহের কারণে তাঁদের কোনো সাজা হবে না। যোদ্ধাদের সাহসিকতাপূর্ণ কাজের জন্য তাঁদের প্রতি ক্রেমলিনের শ্রদ্ধা রয়েছে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা আসার পর প্রিগোশিন ও তাঁর যোদ্ধাদের রোস্তভ-অন-দন শহরের সামরিক সদর দপ্তর থেকে চলে যেতে দেখা গেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে অংশ নিয়েছে ভাগনার। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে লড়াইয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে তাদের।
তবে কিছুদিন ধরেই অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ তুলে সামরিক নেতাদের নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন প্রিগোশিন। ফলে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
গত শুক্রবার প্রিগোশিন অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের ভাগনার যোদ্ধাদের ওপর রকেট হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন শোইগু। এতে অনেক যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একে প্রতারণা আখ্যা দিয়ে তিনি রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাতের হুমকি দেন।
এরপর প্রিগোশিন বিদ্রোহ ঘোষণা করে শনিবার বাহিনী নিয়ে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে রাশিয়ার রাজধানী মস্কো অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন। কয়েকটি শহর ও সামরিক স্থাপনার দখলও নেন। পরে বেলারুশের মধ্যস্থতায় অভিযান বন্ধে রাজি হন তিনি।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার লুকাশেঙ্কো ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র। দেশটি জানিয়েছে, প্রিগোশিনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন লুকাশেঙ্কো। পুতিনের সম্মতিতেই আলোচনা হয়েছে। লুকাশেঙ্কা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। বিনিময়ে ভাগনারের যোদ্ধাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। খবর: বিবিসি, সিএনএন।