সংসদ থেকে পদত্যাগ করে সাংবাদিকতায় ফিরছেন বরিস জনসন
ব্রিটিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগের পর তার পুরনো পেশা সাংবাদিকতায় ফিরে যাচ্ছেন। শুক্রবার (১৬ জুন) দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী পত্রিকা ডেইলি মেইল তাকে নিজেদের নতুন কলামিস্ট হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
ডেইলি মেইলের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আপনি বরিসকে পছন্দ করুন কিংবা না করুন, তবে ওয়েস্টমিনস্টারসহ (ব্রিটিশ পার্লামেন্ট) বিশ্বের মানুষের তার লেখা পড়ে থাকেন।’
আরও পড়ুন: অবশেষে পদত্যাগ করছেন বরিস জনসন
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, কলামে যুক্তরাজ্যের বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের নানান পদক্ষেপ বিষয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে পারেন বরিস। আবার লাভজনক এ চাকরিতে পত্রিকাটির পক্ষ থেকে একটি গাড়িও পাচ্ছেন তিনি।
গত ৯ জুন বিবৃতি দিয়ে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জনসন। এর আগে পার্টিগেইট কেলেঙ্কারির কারণে গত বছর প্রধানমন্ত্রীত্বও ছাড়তে হয়েছিল তাকে।
যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে পরিচিত ও বিভাজন সৃষ্টিকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতোমধ্যে নাম কুড়িয়েছেন ৫৮ বছর বয়সী বরিস জনসন। করোনা মহামরির বিধি ভঙ্গ করে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট ও দেশের অন্যান্য অঞ্চলে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন বাসভবনে বন্ধু-বান্ধবসহ বেশ কয়েকবার মদ-পার্টি আয়োজনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ার পর সরকার ও বিরোধী দলের এমপিদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন বরিস।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ছাত্র প্রতিনিধি পেশাগত ক্যারিয়ার শুরু সাংবাদিকতার মাধ্যমেই। ১৯৮৭ সালে টাইমস ম্যাগাজিনের প্রতিবেদক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে মনগড়া মন্তব্য দেওয়ার কারণে সেই চাকরি হারাতে হয় বরিসকে।
একসময় রাজনীতি আর সাংবাদিকতা একসঙ্গে চালিয়েছিলেন তিনি। সংসদ সদস্য ও স্পেক্টেটর ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্ব একসঙ্গে সামলেছিলেন জনসন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে পর্যন্ত ডেইলি টেলিগ্রাফে নিয়মিত কলামও লিখতেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে টেলিগ্রাফেরই এক কলামে লিখেছিলেন, বোরখা পরা মুসলিম নারীদের ব্যাংক ডাকাত বা ডাকবাক্সের মতো লাগে। এ মন্তব্যের জন্য তাকে ইসলাম বিরোধী বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।