পরিবারের ভালোবাসা পেতে মৃত্যুর নাটক সাজালেন টিকটকার

শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কান্নারত বার্টেনের স্বজনরা
শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে কান্নারত বার্টেনের স্বজনরা  © সংগৃহীত

পরিবারের সদস্যদের ভালোবাসা পেতে নিজের মৃত্যুর নাটক সাজিয়েছেন এক টিকটকার। ঘটনাটি ঘটেছে বেলজিয়ামে। ৪৫ বছরের ডেভিড বার্টেন তার পরিবারের নিকট থেকে আশানুরূপ আচরণ পাচ্ছিলেন না। একারণে বেশ সময় নিয়ে মৃত্যুর নাটক সাজান।

ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ডেভিড বার্টেন নামের ওই টিকটকার সোশ্যাল মিডিয়ায় রাগনার লে ফু নামে পরিচিত। নিজের সন্তান এবং অন্য আত্মীয়দের ব্যবহারে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। প্রিয়জনদের সকলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার গুরুত্ব কতটা, সে ব্যাপারে শিক্ষা দেয়ার জন্যই নিজের মৃত্যুর খবর রটিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেন বার্টেন। 

পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও করেন। এই প্র্যাঙ্ক যাতে সফল হয়, তা নিশ্চিত করতে একটি মৃতদেহেরও ব্যবস্থা করেছিলেন ডেভিড। সেটিকে সবাই ডেভিডের দেহ বলেই ধরে নিয়েছিল। শেষকৃত্যের দিন সকলে কালো পোশাক পরে সমাধিস্থলে হাজির হয়েছিলেন। কান্নার রোল উঠেছিল। দেহ সমাহিত করার প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু এরপরেও নিজেকে লুকিয়ে রাখেন বার্টেন। 

আরো পড়ুন: ছুটিতে চিকিৎসা মেলে না ববির মেডিকেল সেন্টারে, বন্ধ লাইব্রেরিও

ডেভিডের এক মেয়ে ততক্ষণে অ্যাপে শোক বার্তা পোস্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, শান্তিতে থাকো বাবা। আমি সবসময়ই তোমার কথা মনে করব। জীবন এত কঠিন কেন? তোমার সঙ্গেই এরকম হল কেন? তুমি দাদু হতে যাচ্ছিলে, তোমার গোটা জীবন পড়ে ছিল। ঠিক সেই সময় সমাধিস্থলে নেমে আসে একটি হেলিকপ্টার। তার ভিতর থেকে নেমে আসেন খোদ ডেভিড, জীবিত অবস্থায়। 

প্রথমে সবাই হকচকিয়ে গেলেও পরে ডেভিড পরিজনদের সব কথা বুঝিয়ে বলেন। তাকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ডেভিডের সন্তান এবং অন্যান্য আত্মীয়রা। সকলকেই ডেভিড জানান, কেন তিনি এই প্র্যাঙ্ক করেছিলেন। সকলেই পারিবারিক সম্পর্কগুলি রক্ষা করা, এবং আত্মীয়দের মধ্যে যোগাযোগ রাখার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন। ডেভিডকে তারা কথা দেন, এরপর থেকে তার কথা সকলে মেনে চলবেন।

নিজে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ফুটেজ আপলোড না করলেও কেন এটি করেছেন তা ব্যাখ্যা করে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন বার্টেন। বার্টেন বলেন, তার পরিবারের সদস্যরা কখনও কিছুতে তাকে আমন্ত্রণ করতো না। এতে তিনি আঘাত পেয়েছিলেন। তার ভাষায়, কেউ আমাকে দেখে না। আমরা সবাই আলাদা হয়ে গেলাম। এই কারণেই আমি তাদের একটি শিক্ষা দিতে চেয়েছিলাম। তাদের দেখাতে চেয়েছিলাম যে, কারো সাথে দেখা করার জন্য তার মারা যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা উচিত নয়।


সর্বশেষ সংবাদ