কোচিং করতে না পেরে শাহরুখের কাছে টাকা ফেরত চাইলেন ছাত্রী
২০২১ সালে আইএএস প্রস্তুতির কোচিং নেওয়ার জন্য শিক্ষামূলক অ্যাপ সংস্থা বাইজু’সকে ১.৮ লাখ রুপি দিয়েছিলেন ভারতের মধ্য প্রদেশের ইন্দোরের বাসিন্দা প্রিয়ঙ্কা দীক্ষিত নামের এক পরীক্ষার্থী। কিন্তু তার অভিযোগ, তিনি অনলাইনে কোনও ক্লাসই করতে পারেননি। এমনকি, তাকে নাকি কোন বই কিংবা অন্যান্য আনুষঙ্গিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করা হয়নি। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বাইজুস এবং শাহরুখ খানকে তার ফি ফেরত এবং ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা ভোক্তা আদালত। খবর মিন্ট নিউজ।
ওই ছাত্রীর দাবি, বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানকে বাইজু’স-এর বিজ্ঞাপন দিতে দেখেই তিনি এই সংস্থার উপর বিশ্বাস রেখেছিলেন। কয়েক ধাপে টাকা দেওয়ার পরেও পরিষেবা না পাওয়ায় জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন ওই পরীক্ষার্থী। তার সাথে এই প্রতারণার জন্য তিনি বাইজু’স কর্তৃপক্ষ এবং শাহরুখক দায়ী করছেন।
তিনি আরও দাবি করেছেন যে, বাইজু’স এর পক্ষ থেকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর অনলাইন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোচিং কোর্সে ভর্তির জন্য প্রলুব্ধ করা হয়েছিল।
শাহরুখ খানকে অভিযুক্তদের একজন হিসেবে রেখে প্রিয়াঙ্কান অভিযোগে বলা হয়, ১৩ জানুয়ারী ২০২১-এ প্রকাশিত একটি বিজ্ঞাপন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশনের নাগরিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বাইজু-এর কোচিং প্রোগ্রামে নাম লেখান প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু টাকা জমা দেয়ার পরও তিনি কোন পরিসেবা পাননি।
আরও পড়ুন: এবার প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক পাচ্ছেন ৩৭ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৮ শিক্ষার্থী।
ইন্দোর জেলা ভোক্তা আদালত বুধবার অভিযোগকারীকে তার দেওয়া অর্থ ফেরত দেয়ার রায় দিয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে ভর্তির সময় অভিযোগকারী প্রিয়াঙ্কা দীক্ষিতের জমাকৃত ফি ১.৮ লাখ রুপি বার্ষিক ১২ শতাংশ সুদের সাথে ফেরত দিতে হবে। এছাড়া তাকে মামলার খরচ হিসাবে ৫ হাজার রুপি এবং আর্থিক ও মানসিক যন্ত্রণার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ৫০ হাজার রুপি দিতে হবে।
যদিও ওই ছাত্রীর অভিযোগ, টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও তিনি কোনও টাকা পাননি তিনি। আদালত বাইজু’স-এর ম্যানেজার এবং শাহরুখ খানকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য ৩০ দিনের সময় দিয়েছিলেন।
এর আগে গত শনিবারই বেঙ্গালুরুতে বাইজু’স-এর মালিক বাইজু রবীন্দ্রনের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। শনিবার বেঙ্গালুরুতে সংস্থার দফতরে এবং রবীন্দ্রনের বাসভবনে অভিয়ান চালান ইডি কর্মকর্তারা। ইডি সূত্রে জানা যায়, বিদেশি মুদ্রা আইন লঙ্ঘন করেছে সংস্থাটি। অভিযানে এই সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করা হয়।