২৯ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৫২

মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ, পাকিস্তানে লোহার খাঁচায় ঘেরা হচ্ছে মেয়েদের কবর

লোহার খাঁচায় ঘেরা পাকিস্তানের একটি কবরস্থান  © সংগৃহীত

পাকিস্তানে কবর থেকে মেয়ে এবং মহিলাদের মৃতদেহ তুলে ধর্ষণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উদ্বিগ্ন বাবা-মায়েরা তাই ধর্ষকদের হাত থেকে সন্তানদের মৃতদেহকে বাঁচাতে কবরস্থলের চারপাশে লোহার খাঁচা তৈরি করে দিচ্ছেন। সম্প্রতি দেশটির একাধিক গণমাধ্যমে উঠে এসেছে এ তথ্য।

দেশটির গণমাধ্যম ডেইলি টাইমস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই পাকিস্তানে মৃতদেহ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছিলো। তবে সম্প্রতি এধরনের ঘটনা ক্রমশ বেড়ে চলেছে।

স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সাল থেকে এই ধরনের ঘটনা চলছে। ওই বছরেই প্রথম প্রকাশ্যে আসে মৃতদেহ ধর্ষণের ঘটনা। করাচিতে এক কবরস্থলের নিরাপত্তারক্ষী কবর থেকে মহিলা, কিশোরী, তরুণীদের দেহ তুলে ধর্ষণ করতেন। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মহম্মদ রিজওয়ান নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জেরায় ধৃত জানিয়েছিলেন যে, কবর থেকে ৪৮ জন মহিলার দেহ তুলে ধর্ষণ করেছেন তিনি।

আরো পড়ুন: চারুকলার সাধারণ জ্ঞান অংশের ফল হতে পারে ২০ মে

গত বছরের মে মাসে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গুজরাতে চক কমলা গ্রামে এক কিশোরীকে কবর থেকে তুলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনাচক্রে যে দিন কিশোরীকে কবর দেওয়া হয়েছিল, সে দিন রাতেই সেই মরদেহ তুলে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। 

এর আগে, ২০২১ সালে মৌলভি আশরফ চান্দিয়ো গ্রামে কবর থেকে তুলে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের ছেলের বিরুদ্ধে। তবে সে ঘটনায়ও কোনো আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১ সালের পর থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনাই ঘটে চলেছে। সম্প্রতি এই ঘটনার সংখ্যা আরও বেড়েছে। তাই ধর্ষকদের হাত থেকে মেয়েদের বাঁচাতে কবরস্থল খাঁচা দিয়ে ঘিরছেন বাবা-মায়েরা।