২৯ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৫৫

চলন্ত বাসে অজ্ঞান চালক, সহপাঠীদের যেভাবে বাঁচালো ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী

বাস থামাচ্ছেন ডিলন রিভস   © সংগৃহীত

স্কুলবাসে বাড়ি ফিরছিল শিক্ষার্থীরা। বাস চালাতে চালাতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন চালক। বিষয়টি লক্ষ করেছিল বাসের সামনের দিকের আসনে বসে থাকা সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ডিলন রিভস। বাস যখন রাস্তা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ই স্টিয়ারিং ধরে রিভস। তারপর বাসের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয় সে। এতে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় বাসটি। বুধবার (২৬ এপ্রিল) ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান অঙ্গরাজ্যে। খবর সিএনএন

ওয়ারেন স্কুলের সুপারিনটেনডেন্ট রবার্ট ডিলন জানান, রিভস ওয়ারেন এর লোইস ই. কার্টার মিডল স্কুলের একজন ছাত্র। বুধবার বিকেলে স্কুল শেষে একটি বাসে বাড়ি যাওয়ার সময় খুব দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পেরেছিল, যা তার "সাহস ও পরিপক্কতার পরিচয় দেয়।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলন লিভারনয়েস বলেন, বাস চালক গাড়ি চালানোর সময় "কিছুটা মাথা ঘোরা" অনুভব করেছিলেন এবং "হোম বেস"কে সতর্ক করে প্রোটোকল অনুসরণ করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে তার শরীর খারাপ লাগছে এবং পরিবহন বিভাগ তাকে সহায়তার জন্য কাউকে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে।

কিন্তু চালক যেখানে গাড়ি পার্ক করার পরিকল্পনা করেছিলেন সেখানে পৌঁছানোর আগেই অজ্ঞান হয়ে যান এবং বাসটি চলন্ত অবস্থায় ট্র্যাফিকের দিকে যেতে শুরু করে।

লিভারনয়েস আরও বলেন, রিভস প্রায় পাঁচ সারি পিছনে বসেছিলো। যখন সে বাস চালককে অজ্ঞান হতে দেখে তখন সে তার সিট থেকে লাফিয়ে উঠে দৌড়ে বাসের সামনে যায়, স্টিয়ারিংটি ধরে এবং বাসটিকে রাস্তার মাঝখানে একটি স্টপেজে নিয়ে আসে।

আরও পড়ুন: সড়কে প্রাণ গেল ক্যাডেট কলেজ ছাত্রী রাইয়ানের।

পুলিশ জানিয়েছে, চালক জ্ঞান হারানোর খবরে বাসের অন্য শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি শুরু করে দেয়। তবে এই দৃশ্য দেখার পরেও নিজেকে স্থির রেখেছিল রিভস। তারপর ছুটে গিয়ে বাসের স্টিয়ারিং ধরে সে। ব্রেক কষে বাসটিকে থামায়। তার পর ইঞ্জিন বন্ধ করে দেয়।

পরে রিভসই জরুরি সেবা নম্বর ৯১১-তে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এরপরই চালককে এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাসের ভিতরে ৬৬ জন শিক্ষার্থী ছিল। সকলেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল বলে স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান। কিন্তু রিভস ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সামলেছিল।

পুলিশ কর্মকর্তা রবার্ট লিভারনয়েস বলেন, “সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী দ্রুত স্টিয়ারিং ধরার সিদ্ধান্ত না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।”

রিভসের এই সাহসিকতার জন্য গোটা স্কুল তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। পুলিশও রিভসের সাহসিকতার প্রশংসা করেছে।