২৯ বছরেই ‘নতুন আইনস্টাইন’ খেতাব পেলেন এমআইটির সাব্রিনা
মাত্র ২৯ বছর বয়সেই বিজ্ঞানের দুনিয়ায় ‘নতুন আইনস্টাইন’র খেতাব পেলেন শিকাগোর সাব্রিনা গঞ্জালেজ় পেসতারস্কি। এই নামের সাথে জড়িয়ে আছে অসংখ্য নতুন সব আবিষ্কার। সূত্র: ইন্টারেস্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং।
কিউবান বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক সাব্রিনার বাবা পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বাবার উৎসাহেই ছোটবেলায় পদার্থবিদ্যা নিয়ে চর্চা শুরু করেছিলেন তিনি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই চর্চার পরিধি ধীরে ধীরে প্রশস্ত হয়েছে।
মাত্র ১৩ বছর বয়সেই সাব্রিনা তার প্রথম প্রথম প্লেন তৈরি করেছিলেন। ১২ বছর বয়সে ২০০৬ সালের মার্চ মাসে তার বাবার গ্যারেজে বিমানটি তৈরি করা শুরু করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের অক্টোবরে তার কাজ শেষ হয়। ২০০৯ সালের মধ্যে বিমান তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়। উড়ানোর অনুমতি পেয়ে সেই বিমানে চেপে ঘুরেও বেড়িয়েছেন তিনি।
তার উচ্চ কৃতিত্বের জন্য ২৩ বছর বয়সেই পেয়েছেন পরবর্তী আইনস্টাইন বা স্টিফেন হকিং এর খেতাব।ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে স্নাতক স্তরের পড়া সাব্রিনা পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ফোর্বসের সেরা বিজ্ঞানীদের তালিকায় সাব্রিনার নাম ছিল।
এমআইটি-তে স্নাতক স্তরের পড়াশোনা করতে করতেই সুইৎজ়ারল্যান্ডের লার্জ হ্যাড্রন কোলাইডারে বিভিন্ন কণা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন সাব্রিনা।
২০১৫ সালে সাব্রিনার একটি একক গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়। তার বিষয়বস্তু ২০১৬ সালের শুরুর দিকে নিজের গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেন স্বয়ং স্টিফেন হকিং।
আমাজনের কর্ণধার জেফ বেজাস সাব্রিনাকে নিজের সংস্থায় মোটা অঙ্কের চাকরির প্রস্তাবও দিয়েছেন। তবে সাব্রিনা সে সব প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে গবেষণার কাজেই আত্মনিয়োগ করতে চেয়েছেন বার বার।
শুধু বেজাস নন, সাব্রিনার সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসাও। নাসা থেকেও সাব্রিনাকে বিপুল বেতনের চাকরির প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেন তিনি।
সাব্রিনার গবেষণার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘স্পিন মেমরি এফেক্ট’।