আদালতের রায় ছাড়াই আরাভকে অপরাধী বলতে নারাজ হিরো আলম
আরাভ খান খুনের মামলার আসামি হলেও কোর্টের রায় না পেয়ে তাকে দোষী বা অপরাধী হিসেবে দেখতে চান না হিরো আলম; আর আরাভ মামলার ছয় নম্বর আসামি হওয়ার পরও প্রথম পাঁচজনকে নিয়ে কেউ কথা বলছে না কেন, সেই প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছেন না এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
দুবাই থেকে ফিরে রবিবার (১৯ মার্চ) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হিরো আলম বলেন, আমাকে আর সাকিব আল হাসানকে মেডেল দেওয়া উচিত। পুরস্কৃত করা উচিত। কারণ, আমরা যদি অনুষ্ঠানে না যেতাম, কে আসামি, তার সন্ধান পেত না। আমাদের জন্যই তারা আসামির সন্ধান পেয়েছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আলোচিত তিনি বলেন, কোর্ট রায় না দেওয়া পর্যন্ত আমরা তাকে খুনের আসামি (অপরাধী) বলতে পারি না। আমি শুনেছি সে তো ছয় নম্বর আসামি। তার আগের পাঁচজনের নাম কেউ বলে না কেন? তাদের কোনো খবর নাই কেন? ছয় নম্বর আসামিকে নিয়ে সবার এত মাথা ব্যথা কেন? প্রথম পাঁচ আসামি টাকা দিয়ে মামলা থেকে তাদের নাম কেটে ফেলছে নাকি?
আর আরাভ খান যে হত্যা মামলার আসামি, তাও জানতেন না বলে দাবি করেছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, পুলিশ আমাকে সতর্ক করলে যেতাম না। আমাদের মেসেজ (বার্তা) দিতে পারত, বিমানবন্দরে আটকাতে পারত। পুলিশ নিজেই জানত না সে খুনের মামলার আসামি। আমরা যাওয়ার পর জানতে পেরেছে। শিল্পীদের কেউই জানত না বলেও জানান তিনি।
আর পুলিশ বলছে, দুবাইয়ের আলোচিত গয়নার দোকান আরাভ জুয়েলার্সের মালিক ‘আরাভ খান’ এর আসল নাম রবিউল ইসলাম। তিনি এক পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি।
ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন তারকা দুবাইয়ে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় ওই দোকান আর এর মালিকের খবর সংবাদের শিরোনামে আসে।
এর মধ্যেই ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আরাভ খানের বিরুদ্ধে খুনের মামলার বিষয়টি সাকিবসহ অন্যদের জানানো হলেও তারা এতে সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে সাকিবের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও বিমানবন্দরে নেমে হিরো আলম বলেন, পুলিশ যে দাবি করেছে, আমাদের জানানো হয়েছে, এটা একশভাগ মিথ্যা কথা। মেসেজ দেখাতে বলেন। প্রমাণ দিতে বলেন।
আর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সম্ভাবনা হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। তারা যদি প্রমাণ দিতে পারে যে জানানোর পরেও আমরা গিয়েছি, যে শাস্তি দেবে মাথা পেতে নেব।
আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়া প্রত্যেক শিল্পীকে বিমানভাড়াসহ সব খরচের পরে সম্মানী দেওয়া হয়েছে বলেও জানান হিরো আলম। তবে আরাভ খান এক ভিডিওতে দাবি করেছিলেন, তার দোকান উদ্বোধনে যারা দুবাই গিয়েছিল, তাদের কাউকে টাকা পয়সা দেওয়া হয়নি।
ওই কথা মিথ্যা দাবি করে হিরো আলম বলেন, সে তো আমাদের আত্মীয় স্বজন না। আমরা কেন যাব তার অনুষ্ঠানে? আমাদের বিমানভাড়াসহ সব খরচ ছাড়াও শিল্পীদের সম্মানী দিয়েছেন। এই সম্মানীর টাকা দিয়ে রমজানে গরীবদের মধ্যে কাপড় ও সেমাই বিতরণ করবেন বলে জানান হিরো আলম।
তিনি বলেন, এবার রমজানে গজল নিয়ে আসছেন। সেই গানের শুটিংও করেছেন দুবাইতে। তার পাঁচটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে। যে কোনো সময় মুক্তির ঘোষণা আসতে পারে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও অংশ নেবেন হিরো আলম। ভবিষ্যতে দল গঠনের পরিকল্পনা আছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।