জালিয়াতির অভিযোগে সাতশো শিক্ষার্থীকে ভারতে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৭ PM , আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩, ০৫:০৭ PM
ভিসাসংক্রান্ত কাগজপত্র জাল পাওয়ায় সাত শতাধিক ভারতীয় শিক্ষার্থীকে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে কানাডা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদেরকে চিঠি দিয়েছে কানাডিয়ান বর্ডার সিকিউরিটি এজেন্সি (সিবিএসএ)।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, ২০১৮-১৯ সালে কানাডায় যাওয়ার পর সম্প্রতি দেশটিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের (পিআর) জন্য আবেদন করেন ওই শিক্ষার্থীরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিবিএসএ ওই শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র যাচাই–বাছাই করে নিশ্চিত হয় যে শিক্ষার্থীদের ভর্তির অফার লেটার জাল।
এই শিক্ষার্থীদের এখন একমাত্র বিকল্প হলো আদালতে ওই নোটিশকে চ্যালেঞ্জ করা। কিন্তু এই প্রক্রিয়া চার বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
জানা যায়, পাঞ্জাবের জলন্ধরে অবস্থিত এডুকেশন মাইগ্রেশন সার্ভিসেসের মাধ্যমে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন এই শিক্ষার্থীরা। এডুকেশন মাইগ্রেশন সার্ভিসেসের প্রধান ব্রিজেশ মিশ্র এই শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকের কাছে প্রিমিয়ার ইনস্টিটিউট হাম্বার কলেজে ভর্তি ফিসহ খরচ বাবদ ১৬ লাখ টাকার বেশি নিয়েছেন বলে জানা যায়। কিন্তু এতে বিমানের টিকিট ও সিকিউরিটি ডিপোজিট অন্তর্ভুক্ত ছিল না।
১০ বছর ধরে শিক্ষার্থীদের কানাডায় পাঠানোর কাজ করা জলন্ধরভিত্তিক একজন পরামর্শক ভারতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, এ ধরনের প্রতারণার সঙ্গে একাধিক কারণ জড়িত। কলেজের ভুয়া অফার লেটার পাওয়া থেকে শুরু করে ভিসা আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীদের ফি প্রদানের ভুয়া রসিদও দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, পড়াশোনার জন্য বিপুলসংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থী কানাডায় যেতে চান। এই বিষয়কে পুঁজি করে কিছু প্রতারক এজেন্ট কানাডাভিত্তিক একটি বেসরকারি কলেজের সঙ্গে যোগসাজশে এসব করে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, তিনি কানাডার একটি সরকারি কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেছেন। ভিসার আবেদন করার সময় তাঁকে বেসরকারি কলেজে ভর্তির অফার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কানাডা যাওয়ার পর তাঁকে সরকারি কলেজে ভর্তির কথা বলা হয়। এ জন্য এজেন্ট তাঁর ফি ফেরত দিয়েছিল এবং নতুন কলেজে ভর্তির জন্য সহায়তা করেছিল।
তিনি আরও বলেন, পরামর্শদাতা তাকে বলেছিলেন, তিনি কানাডায় পৌঁছে কলেজ পরিবর্তন করতে পারেন। এ রকম বেশ কিছু ঘটনা রয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা এজেন্টকে কিছু কমিশন দেওয়ার পর কানাডায় পৌঁছে তাদের কলেজ পরিবর্তন করে নেন।
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, কোনো আবেদনপত্রে স্বাক্ষর না করায় এজেন্ট কৌশলে কাজটি করেছেন। তাই এই জালিয়াতির সঙ্গে এজেন্টের জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণ করা বেশ কঠিন। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের নির্দোষ প্রমাণ করাও কঠিন হবে বলে জানান তিনি।