র্যাগিং করায় আত্মহত্যার চেষ্টা, চারদিন পর মেডিকেল ছাত্রীর মৃত্যু
সিনিয়রদের দ্বারা র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টার চারদিন পর এক মেডিকেল শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হায়দ্রাবাদের ওয়ারাঙ্গলে। খবর এনডিটিভি।
নিহত শিক্ষার্থীর নাম ডি প্রীতি (২৬)। তিনি কাকাতিয়া মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের স্নাতকোত্তর মেডিকেলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
পুলিশের বরাত দিয়ে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনিয়রের দ্বারা হয়রানির শিকার হওয়ার পরে একটি নিজ হাতে ইনজেকশনের মাধ্যমে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন প্রীতি। এমজিএম হাসপাতালে রাতের শিফটে কাজ করার পর তাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় এবং গুরুতর অবস্থায় তাকে হায়দ্রাবাদে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওয়ারাঙ্গলের পুলিশ কমিশনার এভি রঙ্গনাথ জানান, তাকে শেষবার জরুরী ওপিতে দেখা গিয়েছিল যখন সে ডিউটিতে ছিল এবং পরে, সে তার মাথা ব্যাথা এবং পেট ব্যাথা অনুভব করছেন বলে অন্যান্য ডাক্তারদের জানিয়ে তার রুম ছেড়ে চলে যায়। পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া যায়।
অপরদিকে প্রীতির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে, কলেজের মহম্মদ আলী সাইফ নামের স্নাতকোত্তর দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে তফসিলি জাতি ও তফসিলি উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের অধীনে র্যাগিং, আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার অনলাইনে আবেদন শুরু আজ।
নিহতের বাবা নরেন্দর বলেন, তারা সিনিয়র ছাত্রের বিরুদ্ধে কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর পরিবার ময়নাতদন্ত এবং শেষকৃত্যের জন্য নিজ গ্রামে মরদেহ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি। এছাড়া শিক্ষার্থী মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
পুলিশ কমিশনার এনডিটিভিকে জানান, ভিকটিম এবং অভিযুক্তের ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটগুলি র্যাগিংয়ের প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। টক্সিকোলজি রিপোর্ট আসার পরে আরও তদন্ত করা হবে।
এই বিষয়টি আমলে নিয়েছে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর এসসি/এসটি এবং সরকার, এমজিএম হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট, অধ্যক্ষ এবং অ্যানেস্থেসিওলজি বিভাগের প্রধানকে নোটিশ জারি করেছে। এছাড়া নিহতের পরিবারের জন্য ১০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।